ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া ককটেলে একজন সাংবাদিক এবং শিশুসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দুর্বৃত্তরা এ বিস্ফোরণ ঘটান।
আহতদের মধ্যে সাংবাদিক দিলশানা পারুলকে পার্শ্ববর্তী একটা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আহত অন্যরাও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে বাবু (৩০) পেশায় রিকশাচালক। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা। তিনি রাজধানীর মুগদা এলাকাতে বসবাস করেন। আহত শিশু মোহাম্মদ আলি (১২) থাকে কাফরুলে। আরেকজনের বিস্তারিত পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ফটোসাংবাদিক মঞ্জুর মোর্সেদ রিকি বলেন, বিএনপির এক নেতার সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর বিরোধী দলীয় কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় বিকট শব্দে ককটেল বোমের মতো কিছু পড়তে থাকে। আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আমি পরে পারুল আপাকে আহত অবস্থায় পাই। তাকে চিকিৎসা শেষে বাসায় পৌঁছে দিয়েছি।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধা প্রধান করতে একটি অপশক্তি এমনটি করছে। আগামীর আন্দোলনে যেন নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা একত্রিত না হতে পারে, সেজন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে পরপর চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটেছে।
এতো নিরাপত্তার মধ্যে বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এভাবে ককটেল বিস্ফোরণ কীভাবে সম্ভব -জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোবিন্দ পাল জানান , কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত নই। তবে আমরা তদন্ত করে দেখছি।