ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আংশিক রায় প্রকাশ করেছে। রায়ে বলা হয়েছে, এই রায় সরকারের ওপর কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। প্রয়োজনে কোটার অনুপাত পরিবর্তন, হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবে সরকার। আর কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সরকার সাধারণ মেধা তালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করতে পারবে। সেই সঙ্গে কোটার বিষয়ে রায় পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করেন।
এর আগে গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩ তম গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। চেম্বার বিচারপতি গত ৯ জুন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। ৪ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। ওই দিন রিটকারীদের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় সময় চাওয়া হয়। তখন প্রধান বিচারপতি ‘নট টুডে’ বলে আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান মঙ্গলবার রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। গতকাল দুটি আবেদন একসঙ্গে শুনানি করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করা হয়। একই সঙ্গে এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।
ওই পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনায় আপিল বিভাগ বলেছেন, আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা তাঁদের শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নিয়ে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করবেন বলে আদালত আশা করেন। আর আন্দোলনকারীরা চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারবেন। আদালত মূল আবেদন নিষ্পত্তির সময় তাঁদের সে বক্তব্য বিবেচনায় নেবেন।