ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নিম্নবিত্ত, গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের ডামি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে শেখ হাসিনা এই মুহুর্তে ভারতে রয়েছেন এবং এভাবে বিবৃতি তিনি আর কখনও দেননি ।
বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ এবং ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা অচল হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত শিবির সংঘবদ্ধভাবে মেট্রোরেল এক্সপ্রেসওয়ে, বিটিভি ভবন, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং তছনছ করেছে। বাস-ট্রাকসহ সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য যানবাহনে আগুন দিয়ে ধ্বংস করেছে। এমতাবস্থায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকার গত ২০ জুলাই থেকে সাময়িকভাবে সান্ধ্য আইন জারি করতে বাধ্য হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, এ কারণে নিম্নবিত্ত, খেটে খাওয়া মানুষের উপার্জনের স্বাভাবিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিশেষ করে যারা প্রতিদিনের উপার্জনে সংসার নির্বাহ করেন যেমন- রিকশা চালক, ভ্যান চালক, ফেরিওয়ালা, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর, পরিবহণ শ্রমিক ইত্যাদি নানা পেশার মানুষকে নিদারুণ কষ্টের মুখে পড়তে হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এমতাবস্থায় আমি আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা করোনাভাইরাস মহামারির সময় সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছিল, বর্তমান এই ক্রান্তিকালেও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সহায়তা করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, একই সাথে সমাজের বিত্তবানদের প্রতিও আমার অনুরোধ, আপনারাও আপনাদের আশে-পাশের গরিব-দুঃখী, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের প্রতি মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।