DMCA.com Protection Status
title="৭

‘হাজার প্রাণ গেল সরকারের কোনো কথা নেই, শুধু স্থাপনায় আগুন নিয়ে উদ্বেগ’

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শতশত প্রাণ গেল এ বিষয়ে সরকার কোনো কথা বলছে না। শুধু সরকারি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে এ নিয়ে সরকারের উদ্বেগ। সত্য কথা বললে রাষ্ট্রবিরোধী বলা হয়। আসল রাষ্ট্রবিরোধী হলো আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর তারা (আওয়ামী লীগ) যা করছে, সবগুলো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গেছে। ২০১৮ সালে ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে কোটা বাতিল করেছে সরকার। পরবর্তীতে কোর্ট থেকে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, সরকার ছাত্রদের সঙ্গে না বসে, আবার কোর্টের মাধ্যমে একটি রায় দিয়েছে। সমস্যা কিন্তু সমাধান হয়নি।

বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গেল কয়েকদিনে বিএনপির অন্তত দুই হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে বিএনপিকে দোষারোপ করছে সরকার। আমাদের পার্টি অফিস ক্রাইম সিন দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অভিযানের নামে অফিস তছনছ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা কাজ করতে পারছি না। আমার জানামতে এখন পর্যন্ত দুই হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই সরকার দোষারোপের রাজনীতি শুরু করছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। আমরা প্রকৃত তথ্য পাচ্ছি না, সরকার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর যেভাবে দমন-পীড়ন হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, ইন্টারনেট বন্ধ করে কারফিউ দিয়েছে। শতশত মানুষ নিহত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আহত, নিহতের প্রকৃত তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। যা দিচ্ছে তা বিভ্রান্তিকর।

মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই বলে সরকার নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করছে। সরকার দেশের মূল সমস্যা থেকে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘোরাতে পরিকল্পিতভাবে এসব করেছে। সরকার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডার যারা রয়েছে তাদের সঙ্গে আলাপ করেনি। সরকার যদি স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করতো, তাহলে এসব পরিস্থিতি তৈরি হতো না। যে রায়টা সরকার আদালতের মাধ্যমে করিয়ে নিয়েছে এটা আরও আগে আনতে পারতো। রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া এটার সমাধান হবে না।

উল্লেখ্য যে, আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা নাশকতার বিভিন্ন মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ ৩৯৬ জনকে আজ কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!