DMCA.com Protection Status
title="৭

পুলিশ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে অ্যামনেস্টি

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ আইনবহির্ভূতভাবে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশে সহিংসতার তিনটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে এই প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানায় অ্যামনেস্টি।

সংস্থাটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। তবে তারপরও যেসব ভিডিও এবং আলোকচিত্র পাওয়া গেছে সেগুলো যাচাই–বাছাই ও বিশ্লেষণ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। অ্যামনেস্টি ও এর ক্রাইসিস এভিডেন্স ল্যাব বিক্ষোভ দমনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইনবহির্ভূতভাবে প্রাণঘাতী ও কম প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের তিনটি ঘটনার ভিডিও যাচাই করেছে। এগুলো হলো ঢাকার সাভার, বাড্ডা ও রামপুরা এলাকায় সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে ধারণ করা।

সংস্থাটি বলছে, সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা যথাযথ উপায় নয়। আগ্নেয়াস্ত্র শুধু তখনই ব্যবহার করা যাবে, যখন মৃত্যু ঘটতে পারে বা গুরুতর আহত হওয়ার মতো হুমকি মোকাবিলার প্রয়োজন হয়। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেই সঙ্গে সহিংসতার শিকার হয়ে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও আহত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে পুনর্বাসন করার দাবি জানায় তারা।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের জ্যেষ্ঠ পরিচালক দেপোরসে মুচেনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা ভিডিও এবং আলোকচিত্র যাচাই করে ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যাচ্ছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সরকার ও এর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর প্রতি বিক্ষোভের অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, সহিংস দমনাভিযান এবং যোগাযোগব্যবস্থার ওপর সব ধরনের বিধিনিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!