ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাদ তৈরি হয়েছে। মমতা বাংলাদেশে সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের আশ্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার বক্তব্যে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
অনলাইন আউটলুক ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, মমতা একজন সাংবাদিককে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাঠামো আমি খুব ভালভাবে জানি। আমি সাতবারের এমপি। দু’বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলাম। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি খুব ভালভাবে জানি আমি। তাদের উচিত না আমাকে শিক্ষা দেওয়া। পক্ষান্তরে তাদের উচিত ‘সিস্টেম’ জানা।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাই তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজনে কলকাতায় বার্ষিক শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু একটি সার্বভৌম দেশ, তাই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলা আমার উচিত হবে না। কিন্তু আমি আপনাদের বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষগুলো পশ্চিমবঙ্গে এসে দরজায় কড়া নাড়েন, অবশ্যই আমরা তাদের আশ্রয় দেবো। প্রতিবেশী কোনো দেশ যদি টালমাটাল হয় তাহলে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিধান আছে জাতিসংঘের রেজ্যুলুশনে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যথাযথ সম্মান রেখে আমি বলতে চাই যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমাদের খুবই ভাল এবং উষ্ণ সম্পর্ক আছে। কিন্তু তার এই বক্তব্য সংশয় সৃষ্টির একটি সুযোগ করতে পারে। এ ইস্যুতে আমরা ভারত সরকারের কাছে একটি নোট পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, সংবিধানের ৭ম ধারার অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারকে যেসব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার তালিকা অনুযায়ী পররাষ্ট্র বিষয়ক এবং বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে সব বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পর্ক রক্ষায় একমাত্র অনুমোদিত।