ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। রাজধানী তেহরানে বুধবার সকালে এ হামলা চালানো হয় বলে দেশটির আধাসামরিক বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ড জানিয়েছে।
মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হানিয়া।
হানিয়া কিভাবে নিহত হয়েছেন তা বিস্তারিত জানায়নি ইরান সরকার। হামলার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে রেভল্যুশনারি গার্ডের পক্ষে বলা হয়েছে।
হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে হামাসের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর তেহরানে নিজ অবস্থানস্থলে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হানিয়া নিহত হয়েছেন।’
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি জনগণ, আরব বিশ্বসহ মুসলিম দেশ ও বিশ্বের সব স্বাধীন মানুষের কাছে শোক প্রকাশ করে ইসমাইল হানিয়াকে শহীদ ঘোষণা করেছে হামাস।
হানিয়া ২০১৯ সালে গাজা উপত্যকা ছেড়ে কাতারে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার না করলেও সন্দেহের তীর ইসরায়েলের ওপরই পড়ছে।
তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি। তাছাড়া নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কোনো গুপ্তহত্যা নিয়ে সাধারণত মন্তব্য করে না ইসরায়েল।
হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউজও। যে সময় বাইডেন প্রশাসন একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তির বিষয়ে হামাস ও ইসরায়েলকে রাজি করাতে চাপ প্রয়োগ করছিলেন সে সময় হানিয়া হত্যাকাণ্ড ঘটল।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫০ জিম্মির পর হামাস প্রধান হানিয়া ও অন্য নেতাদের হত্যার অঙ্গীকার করে ইসরায়েল। সেই থেকে এ পর্যন্ত তারা হাজায় হামলা চালিয়ে প্রায় ৩৯ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে।