ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পালানোর সময় শেখ হাসিনা মনে হয় বলেছেন আগরতলা কতদূর বলে মন্তব্য করেছেন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা যেটা শুনেছি, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যখন হেলিকপ্টারে করে পালাচ্ছিলেন, হেলিকপ্টারের পাইলটকে মনে হয় বলেছেন, আগরতলা কতদূর, আগরতলা কতদূর। তার মনে এতটাই সংশয় ছিল যে, জনগণ মনে হয় এবার তাকে আর ছাড় দেবে না।
আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জেলানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের সঞ্চালনায় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৫ আগস্ট সারা ঢাকা শহরে বিস্তার লাভ করেছিল শুধু মানুষের কাফেলা, মানুষের মিছিল। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত, এক মহানগর থেকে আরেক মহানগর, জেলা সদর- প্রত্যেকটি জায়গায় শুধু মানুষ আর মানুষ। শেখ হাসিনা ওই হেলিকপ্টারেই বুঝতে পেরেছেন, আমি জনগণের অভ্যন্তরীণ শক্তিকে বুঝতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা চেয়েছেন বিচার প্রাঙ্গণে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিচারপতি থাকতে হবে। যারা ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিল তাদের তিনি পুলিশে ঢুকিয়েছেন, তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়েছেন। তারা শেখ হাসিনার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য যা কিছু করার দরকার তাই করেছেন। বিএনপির বড় বড় নেতাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। বিনা দ্বিধায় সেসমস্ত কাজ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। আমরা সবাই তাদের নাম জানি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা কোনো মিডিয়া ভাঙতে চাই না। কোনো মিডিয়া যেন আমাদের দ্বারা আতঙ্কিত না হয়। মানুষ যেন আমাদের ওপরে নির্ভয়ে আস্থা রাখতে পারে। বাংলাদেশে যারা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে এবং যারা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিশ্বাস করে, মান্য করে এবং তাদের নীতি আদর্শকে অনুসরণ করে- তারা হবে জনগণের একটা নিরাপত্তার বেষ্টনী।