ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সরকার জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও এর সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে। আজ বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এর আগে গত ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সরকারের পতন হয় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে দেশ ছাড়েন।
আজকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘যেহেতু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সম্পৃক্ততার নিদিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় নাই এবং যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত নহে; সেহেতু সরকার, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণাসংক্রান্ত এই বিভাগের বিগত ১৭ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ০১ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখের প্রজ্ঞাপন এসআরও নং ২৮১/আইন/২০২৪ এতদ্বারা বাতিল করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ হইতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং উহার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সকল অঙ্গ সংগঠনে তালিকাভুক্তি বাতিল করিল।’
উল্লেখ্য, সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদির নেতৃত্বে ১৯৪১ সালে জামায়াত প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর থেকে দলটি চারবার নিষিদ্ধ হয়। ১৯৫৯ ও ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তানে এবং ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রতিষ্ঠার পর অন্য সব ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে জামায়াতও নিষিদ্ধ হয়েছিল।