DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

হারুনের স্ত্রীর ‘দেড় হাজার কোটি টাকা’ আটকে গেছে

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ হারুনের স্ত্রীর নামে থাকা এক হাজার ৫৩২ কোটি টাকা আটকে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সুপারিশে এই টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে বলে দৈনিক দেশ রূপান্তর দাবি করেছে। তবে তারা কোনো সোর্স উল্লেখ করেনি।

ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ সম্পদের দিক থেকে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকেও ছাড়িয়ে গেছেন।

ঢাকার উত্তরা, গাজীপুর, আশুলিয়া ও কক্সবাজারের টেকনাফে অঢেল সম্পত্তির মালিক তিনি। অনেক বাড়ি, প্লট, হোটেল ও রিসোর্টের মালিক তিনি। আশুলিয়ার নন্দন পার্কেও তার শেয়ার আছে। শুধু দেশে না, বিদেশেও তার বাড়ি আছে। গতকাল মঙ্গলবার হারুন ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।

কিভাবে হারুন এত টাকা আয় করতেন?

ভুক্তভোগীরা বলেছেন, প্রতি রাতে ডিবির একাধিক দল নেমে পড়ত টার্গেটকৃত ব্যক্তির উদ্দেশে। গাড়িতে মজুদ রাখা হতো ইয়াবা, অস্ত্র ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। সুযোগবুঝে ওইসব জিনিস দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হতো নিরপরাধ ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি ও ধনী পরিবারের সন্তানদের।

সবই হতো হারুনের নেতৃত্বে। গাজীপুরে এসপি হারুনের চার বছরের রাজত্বে মাদক, আবাসিক হোটেলে দেহব্যবসা ও জুয়ার জমজমাট ব্যবসা চলত। এসব করে তিনি হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। তার আসার আগে গাজীপুরের কোথাও হোটেলে দেহব্যবসা ছিল না। তিনি তার অবৈধ টাকায় গাজীপুরে গড়ে তুলেছেন রিসোর্ট, বাগানবাড়ি এবং আবাসিক বিভিন্ন প্লট।

টঙ্গীর সাতাইশ মৌজায় আট বিঘা জমিতে অনুমোদন ছাড়াই নির্মিাত হচ্ছে জেএইচ-জিওটেক্স লিমিটেড নামে তার একটি প্রতিষ্ঠান। টঙ্গীর আশুলিয়া মৌজায় ছায়াকুঞ্জ-৫ আবাসিক প্রকল্পের ভেতরে ১২ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসিক হোটেল।

গাজীপুরের শ্রীপুরে সবুজ পাতা নামে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট রয়েছে। শ্রীপুরের কাওরাইদে রয়েছে তার ছয় বিঘার জমি। চারপাশ বাউন্ডারি।

আর ঢাকার উত্তরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন সেক্টরে রয়েছে তার অসংখ্য বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!