ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চেক নিয়ে ঘুরছেন সাংবাদিকরা, অথচ বাংলাদেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। ব্যাংক থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বার বার। এমন প্রতারণার প্রতিবাদে বসুন্ধরা সিটির সামনে মানববন্ধন করতে গেলেও বাঁধা দেয় বসুন্ধরার লাঠিয়াল বাহিনী। কেড়ে নেওয়া হয় ব্যানার।
অভিনব এমন প্রতারণা আর হয়রানির প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন কালের কণ্ঠ, ডেইলি সান পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ২৪ডটকম থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বিনা নোটিশে ছাঁটাই হওয়া সংবাদকর্মীরা।
ওয়েজবোর্ডের তোয়াক্কা না করে নিজেদের মনগড়া হিসেবে ছাঁটাইকৃত শতাধিক কর্মীকে, দশ ভাগে বিভক্ত করে জানুয়ারি ২০২৪ থেকে দশটি চেক দেয় বসুন্ধরা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাংকে চেক জমা দিলে অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় নিজেদের পাওনা পাননি ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা। বারবার ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কালের কণ্ঠের ছাঁটাইকৃত সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান।
পাওনা না পেয়ে অর্থাভাবে অনেকের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বসুন্ধরার চেক প্রতারণায় চিকিৎসা ব্যয় ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে অনেকের। এরই প্রতিকার চাইতে আজ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা। তাদের প্রত্যাশা, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপে বসুন্ধরা গ্রুপ দ্রুতই পাওনা পরিশোধ করবে সাংবাদিকদের।
উল্লেখ্য, বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে গত ১৩ আগস্ট ব্যাংক এশিয়ার কারওয়ান বাজার শাখায় সবাই চেক জমা দিয়েছিলেন। কোনো টাকা না পেয়ে আজ সবাই চেক ফেরত নিতে গিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েন। ব্যাংক এশিয়ার সামনে হতাশা নিয়ে বসে থাকা কর্মীর একাংশের ছবি।