ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গত শুক্রবার বিশৃঙ্খলা করা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো. রুহুল আমিনকে তার পদ থেকে অপসারিতে হয়েছেন। তার আগে গত ৫ আগস্ট প্রবল ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে, আওয়ামীপন্থি এই খতিবও পালিয়ে যান। পরে গত শুক্রবার অনুসারীদের নিয়ে ফিরে এসে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করেন। যদিও মুসল্লিদের তোপের মুখে পড়ে ফের পালিয়ে যেতে বাধ্য হন মুফতি রুহুল আমিন।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় মসজিদের খতিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এই রুহুল আমিনই হাসিনাকে কওমি জননী উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন।
২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এক শোকরানা মাহফিলে সারাদেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও আলেমরা উপস্থিত হয়েছিলেন। ওই শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমি জননী উপাধিতে ভূষিত করেন মুফতি রুহুল আমিন। এর প্রতিদানও দিয়েছেন হাসিনা। গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমিনকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ বানান জাতীয় মসজিদের খতিব।
সেদিন মুফতি রুহুল আমিন বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা আপনি স্বীকৃতি দিয়েছেন, সবকিছু উপেক্ষা করে। অনেক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন, তার জবাব দিয়েছেন। ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জননীর ভূমিকা আপনি (শেখ হাসিনা) পালন করেছেন। আজকে কওমি মহাসমুদ্রে আমি ঘোষণা করতে চাই, আপনি কওমি জননী। আজ থেকে আপনাকে এ উপাধি দিলাম। আপনার মাতৃত্বের ভূমিকা না থাকলে দেশবিরোধী, সাহাবাদের শত্রু, জামাত-মওদুদীবাদীরা এ দেশে (স্বীকৃতি) তা হতে দিতো না।’
জানা যায়, মুফতি রুহুল আমিনের বাড়ি গোপালগঞ্জে। কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার মহাপরিচালকও মুফতি রুহুল আমিন।