ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে নিউ ইয়র্কের অনুষ্ঠান মঞ্চে তিনি তার দীর্ঘদিনের বন্ধু সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলার ফাঁকে সফরসঙ্গীদের মাহফুজ ছাড়াও বাকি তিন জনকে পরিচয় করিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সামনে এগিয়ে আসেন ক্লিনটন। বন্ধু ড. ইউনূস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ড. ইউনূস তার দেখা একমাত্র বয়স্ক ব্যক্তি, যাকে নেতৃত্বে পেতে তরুণ সমাজ মরিয়া হয়ে ছিল। এমন হাস্যরসের পরেই ড. ইউনূস বাংলাদেশের জুলাই-আগস্ট মাসের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সেখানে ছাত্রদের অবদান তুলে ধরেন। এই অনুষ্ঠানে কয়েকজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত আছেন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা তাদের মঞ্চে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমসহ তিন জন স্টেজে আসেন। বিল ক্লিনটনও তাদের নাম শুনে হাত তালি দেন। ৩ জনের মধ্যে একজন বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা তিথি।
তরুণ নেতারা মঞ্চে এসে তার পাশে দাঁড়ালে ড. ইউনূস বলেন, তারা যেভাবে কথা বলে, সেভাবে আমি কাউকে কোনোদিন বলতে শুনিনি। নতুন বিশ্ব গড়তে, নতুন বাংলাদেশ তৈরিতে তারা প্রস্তুত। আপনাদের অনুরোধ করছি, তাদের পাশে থাকবেন যেন তাদের এই স্বপ্ন পূরণ হয়। আমাদের সবারই এই দায়িত্ব নিতে হবে। এসময় ক্লিনটনের হাত ধরে বলেন, ‘তুমি তো আমাদের সঙ্গে থাকবেই।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, তাদের দেখতে আর ১০টা মানুষের মতোই লাগবে আপনাদের। কিন্তু তাদের কথা শুনলে, তাদের কাজ দেখলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। তারা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য থেকে পিছপা হয়নি। তাদের বক্তব্য ছিল, মেরে ফেললেও আমরা পথ ছাড়বো না।
এসময় মাহফুজ আলমকে সামনে এগিয়ে নিয়ে তিনি বলেন, ‘মাহফুজ হচ্ছে আন্দোলনের পেছনের কারিগর। যদিও সে এটা স্বীকার করতে চায় না। বলে যে, সে একা নয়, আরও অনেকে (মাস্টারমাইন্ড) আছে। কিন্তু এরইমধ্যে সে এই গণ-অভ্যুত্থানের পেছনের কারিগর হিসেবে পরিচিত।