ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন কী-না এমন প্রশ্নে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, এটা তার (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে আমি আমার দলের লোকজনকে নিরাপদে রাখতে চাই।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে জয় এই কথা বলেন।
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে জয় বলেন, ‘এটা তার (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে আমি আমার দলের লোকজনকে নিরাপদে রাখতে চাই। ইউনূস সরকার তাদের ওপর যে নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছে, সেটাকে আমি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই।’
একই সাক্ষাৎকারে গত সোমবার রয়টার্সকে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশে আগামী দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জয়।
সন্তোষ প্রকাশ করে জয় বলেছেন, তার দল আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কার্যকর কোনো সংস্কার বা নির্বাচন করা অসম্ভব। নির্বাচন আয়োজনের সময় আরো আগেই প্রত্যাশিত ছিল।
রক্তক্ষয়ী ছাত্র বিক্ষোভের সময় শেখ হাসিনাকে রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অস্বীকৃতি জানানোর পর ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
সোমবার রয়টার্সে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান বলেছেন, "বাংলাদেশে 'দেড় বছরের মধ্যেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ হওয়া উচিত' বলে তিনি মনে করেন। তবে ‘পরিস্থিতি যাই হোক না কেন’ তিনি মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবেন।"
ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘শেষপর্যন্ত আমরা একটা সময়সীমা পেয়েছি, এতে আমি খুশী। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, একটি অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকার দেশে নানা সংস্কারের কথা বলছে, যা পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তুলবে।’
তিনি বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের অতীত কিছু উদাহরণও তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ বাহিনী অকার্যকর হয়ে পড়লে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করে।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘দেশের সবচেয়ে পুরনো এবং বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে কোন গ্রহণযোগ্য সংস্কার বা নির্বাচন করা অসম্ভব। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নির্ভর করছে যে, তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করবে নাকি তাদের মতো করে নির্বাচন আয়োজন করবে।’
গত মাসে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ দাবি করেছিলেন যে, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হবেন এবং পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে চায়।
বাংলাদেশের গণআন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিচার দাবি করছে শিক্ষার্থীরা।