ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার নির্জন হত্যাকাণ্ডে মূলহোতা নাছির উদ্দিন ওরফে নাছির ডাকাত ও তার সহযোগী এনামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যৌথ বাহিনী শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে কক্সবাজারের চকরিয়ার মধ্যম কাহারিয়াঘোনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। নাছির চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল মালেকের ছেলে এবং এনামুল হক একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত নুরুল আলমের ছেলে।
আজ শনিবার র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এবং সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। র্যাব বলছে, গ্রেপ্তার নাছির তানজিম সরোয়ার নির্জনকে গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার মধ্যম কাহারিয়াঘোনা এলাকায় র্যাবের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজন লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযান পরিচালনার সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) শহিদ হয়েছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মো. নাছির (৩৪) নামক একজনকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৭ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার ডাকাতদের কাছ থেকে ৫টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, বিভিন্ন ধরনের ১৪ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত দলের অন্যান্য জড়িত সদস্যদের গ্রেপ্তারে জন্য সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে চকরিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর চকরিয়ায় ডাকাতির খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ারের নেতৃত্ব সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় লেফটেন্যান্ট তানজিম নাছির উদ্দিনকে ধরে ফেলেন। পরে নাছির উদ্দিনসহ আরও দুই থেকে তিনজন ডাকাত তানজিমকে ধারালো ছুরি দিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তানজিমকে মৃত ঘোষণা করেন।