DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

আ.লীগ যে জঞ্জাল সৃষ্টি করেছে তা পরিষ্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: ফখরুল

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ দেশে যে জঞ্জাল সৃষ্টি করেছে তা পরিষ্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই মুহূর্তে মানুষের আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করে, সব দলের সঙ্গে কথা বলে, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা আশা করবো তারা অতিদ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।

আজ শনিবার বিকেলে গাজীপুর জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের উদ্যোগে কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত শ্রমিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খানের পরিচালনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শ্রমিক দল সভাপতি  মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা বিএনপি সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন,  গাজীপুর মহানগর বিএনপি সভাপতি শওকত হোসেন সরকার, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ  রিয়াজুল হান্নান, মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি বক্তব্য রাখেন। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকার, মিনার উদ্দিন, ফয়সাল আহম্মেদ সরকারসহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ভারতকে আমরা বলেছি যে, গণহত্যা করেছে তাকে জায়গা দেবেন না। তারা এখনও কথা শোনেনি। তাই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলছি, ভারতকে চিঠি দিতে, যাতে তারা শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা পালালেও তার প্রেতাত্মারা এখনও এদেশে আছে। তারা চুরি-চামারি করে যে সাম্রাজ্য গড়েছিল, দেশের বাইরে সম্পদ পাচার করে সম্পদ তৈরি করেছে, এজন্য তারা তাকে ভুলতে পারে না। তারাই দেশে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে। বড় ষড়যন্ত্র হয়েছে এই শিল্প এলাকাতে। তারা ভাবে আবার শেখ হাসিনা ফিরে এলে, আবার তারা লুটপাট করতে পারবে। ছাত্র-শ্রমিক হত্যা করা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত ভালো কিছু করেনি। 

তিনি আরও বলেন, এখানে পোশাক শিল্পে ৫০ লাখের বেশি মানুষ কাজ করে। এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে কী দেশের অর্থনীতি ঠিক থাকে? বাইরের শক্তির সহায়তায় তারা শিল্প এলাকায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। 

শিল্প ও কারখানা রক্ষায় টাস্কফোর্স গঠনের ওপর জোর দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ২০২৩ সালে রফতানির ৮৫ ভাগ এসেছে পোশাকখাত থেকে। ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ শ্রমিক কাজ করে গার্মেন্টস সেক্টরে। আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।  

গার্মেন্টস, ওষুধ কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ, শিল্পাঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ও শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত পরিশোধের দাবিতে বিশাল এই শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিকেলে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প এলাকা ছাড়াও আশুলিয়া, সাভারসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকেরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে থাকেন। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লে কার্ড সহযোগে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাগমে দুপুরের আগেই কলেজ মাঠে লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!