ক্যাপ্টেন (অবঃ) মারুফ রাজুঃ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনারা সংস্কার করুন। কিন্তু নির্বাচনের তারিখ বলতে আপনাদের এত সংশয় হচ্ছে কেন? গণতন্ত্র হচ্ছে- যা কিছু হবে জনগণের কাছে সেটা স্পষ্ট করে বলতে হবে। মানুষ তো এসব বিষয়ে সন্দেহ করে।আপনারা সংস্কারের জন্য কমিশন করলেন, সব করলেন- এটা কত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে, কত দিনের মধ্যে একটা অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হবে। নির্বাচনে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কোন দলকে ভোট দেবে, কে সরকার গঠন করবে। স্পষ্টতা এবং পথরেখা এই দুইটা হচ্ছে গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত। আপনারা ডেট লাইন বলতে, সময়সীমা বলতে গড়িমসি করছেন। এইটা তো মানুষ সন্দেহের চোখে দেখছে।
আজ বুধবার রাজধানীর ডেমরায় শহীদ পরিবারের সঙ্গে আমরা বিএনপি পরিবারের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্যসচিব কৃষিবিদ মো. মোকছেদুল মোমিন মিথুন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন সম্মানিত মানুষ। বাংলাদেশের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্মান নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তাকে সর্বাগ্রে দেখতে হবে মানুষ কোনটাতে বাঁচে এবং মানুষ কোনটাতে স্বস্তি লাভ করে। নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে ঠিকমতো খাইতে পারে সেটার জন্য সবার আগে বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন। অনেক জিনিসের শুল্ক কমিয়েছেন, কিন্তু বাজারে তার কোনো ইফেক্ট নেই। চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ- এগুলোর কিন্তু দাম কমেনি। এগুলোর জন্য দায়ি সিন্ডিকেট।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে নিরাপদ রাখতে এমন কোনো পদ্ধতি নেই যে তিনি অবলম্বন করেননি। বাংলাদেশের সন্ত্রাসী, চোর, বদমাইশ, ডাকাতদেরকে তিনি বিচারের আওতায় আনেননি। শেখ হাসিনার অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অনাচারের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছেন, তাদেরকে ধরে নিয়ে গিয়ে তিনি কারাগারে নিয়েছেন। এভাবে তিনি রাজত্ব করতে চেয়েছেন তার গদিকে রক্ষা করার জন্য।