ক্যাপ্টেন (অবঃ) মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের ডিএনএতে ফ্যাসিজম আছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আদর্শ প্রকাশনী আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা : আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
সভায় সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, সাংবাদিক মনির হায়দার, সাহেদ আলম, সাইয়েদ আবদুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও উমামা ফাতেমা অংশ নেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগের ডিএনএতেই ফ্যাসিজম আছে। শুধু জুলাই কিংবা শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড না, স্বাধীনতা পরবর্তী ‘৭২ সালে ক্ষমতায় আসার পর একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করার চেষ্টা চালিয়েছিল। সেসময় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। সিরাজ শিকদার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল তারা। শুধু ভারতীয় আগ্রাসনের বিরোধিতা করার কারণে সে সময় মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলকে গুম করা হয়।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ঠিক কত লোক মারা গিয়েছে তা আমরা জানি না। যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে যে নৃশংসতা ও হত্যার খবর আমরা প্রতিনিয়ত জানতে পারছি তা ভাষায় বর্ণনা কঠিন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের নতুন পথ দেখিয়েছে, সাহস জুগিয়েছে। তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরাও আগস্ট মাসে মৃত্যুভয় ভুলে গিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি সিস্টেমকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছেন। রাষ্ট্রের সমস্ত ভেঙে পড়া কাঠামোর পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সহজ না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো সংস্কারের সময় দিতে হবে। আমরা ১৫ বছর ধৈর্য ধারণ করেছিলাম, এখন যেন অল্পতেই অধৈর্য হয়ে না পড়ি।
নিজের এবং সরকারের সমালোচনাকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সমালোচনা অবশ্যই করবেন, তবে একটু ভালোবাসা দিয়ে করবেন আমরা তো আর আওয়ামী লীগ না। তিনি এ সময় আক্ষেপ করে বলেন, পত্রপত্রিকা, সমাবেশ ও ফেসবুকে এখন সবাই কেবল সরকার ও সমন্বয়কদের সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত। কেউ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের অপকর্ম সম্পর্কে বলছে না। আমরা কি তাদের সব অপরাধ ভুলে গিয়েছি,তাদের এত দ্রুত ক্ষমা করে দিয়েছি?