ক্যাপ্টেন (অবঃ) মারুফ রাজুঃ জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ মোট ২০ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ শনিবার (২৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন। আগামী ১৮ নভেম্বর তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।
এদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলক, গোলাম দস্তগীর গাজী, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, শাহজাহান খান, ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তৌফিক এলাহি, সালমান এফ রহমান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে, আজ সকালে আনিসুল হকসহ অন্যান্য আটককৃতদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনালের তিন নম্বর মামলায় এই আবেদন করা হয়। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে, একই অভিযোগে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তার দেখানো প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো ও নির্দেশের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। আন্দোলন দমাতে গুলির পাশাপাশি সাঁজোয়া যান ও হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এর তথ্য-প্রমাণ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ১৭ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারি অস্ত্র ব্যবহার করে হত্যা, লাশ পুড়িয়ে ফেলা ও গুমের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।