ক্যাপ্টেন (অবঃ) মারুফ রাজুঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘একটা রাজনৈতিক দল আমি দেখলাম, এটি আমাকে বিস্মিত করেছে যে দেশপ্রেমী তারা আর সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক নিঃসন্দেহে। কারণ, তাদের পূর্বসূরিরা এই বাংলাদেশ নির্মাণে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছে, তারাই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে। দেখেছি জনগণ যখন অত্যাচারিত হয়েছে, সেনাবাহিনী তাদের পক্ষ নিয়েছে। এমনকি ২৪ এর যে গণ-অভ্যুত্থান, সেখানেও একটি উচ্ছল ভূমিকা রেখেছে। আমি সেই রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই, ইসলামপন্থী সেই রাজনৈতিক দল যে আপনাদের একাত্তরের ভূমিকা কী ছিল, আপনারা কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, আপনারা কোনো সেক্টর কমান্ডারের আন্ডারে যুদ্ধ করেছেন, বাংলাদেশ কেউ দেশপ্রেমিক নেই? শুধু একটি রাজনৈতিক দল দেশপ্রেমিক? এই ধরনের বিভ্রান্তি আপনারা তৈরি করলে মানুষ হাসবে। মানুষ হাসি ছাড়া আর কিছু দেবে না।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরের হুমায়ূন রশীদ চত্বরে আমরা বিএনপি পরিবারে উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে যুব এশিয়া কাপ বিজয়ী তরুণ ক্রিকেটার ইকবাল হোসেন ইমনের পরিবারকে উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, শেখ হাসিনা নিজের ক্ষমতাকে নিরাপদ করার জন্য, ক্ষমতায় থাকার জন্য, ১৯৭১ সালের ৩০ লক্ষ শহীদ ও দুই লাখ নারী নির্যাতিত হয়েছিলেন, এই অর্জনের মধ্যে দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে দ্বিতীয়বার কলঙ্কিত করেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ন্যায় শেখ হাসিনা।
তিন বলেন, সিলেটের এম ইলিয়াস আলী আজ নাই শেখ হাসিনার কারণে। কারণ, তিনি দেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি টিপাইমুখ বাঁধে লংমার্চ করে এসে প্রতিবাদ করেছিলেন। মানুষ বলে তাকে এই কারণে নিরুদ্দেশ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁকে অসুস্থ করা হয়েছে, তিনি গ্রেপ্তারের আগে চোখে অপারেশন করে এসেছিলেন। যে রুমটিতে রাখা হয়েছে, সেটি একটি ২০০ বছরের পুরোনো একটি বিল্ডিংয়ের পুরোনো একটি রুমের মধ্যে, চারদিকে বালি আর ধোঁয়া উড়ে। যার চোখে অপারেশন হয়েছে, তাঁকে ওই রুমটি দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি আরও অসুস্থ হন এই কারণে। তারপরও বিএনপি দেশনেত্রীর মুক্তির পাশাপাশি গণতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রামে কখনোই পিছপা হয়নি।’