DMCA.com Protection Status
title=""

আহারে কি করুন পরিনতি !

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্র্যান্ড প্রোমোটরের অস্বাভাবিক কার্যক্রম নিয়ে চলমান আলোচনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার ও কোরিওগ্রাফার এডলফ খান।  বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে লিখেন, আহারে কি করুন পরিনতি !

ফেইসবুক পোস্টে এডলফ খান লেখেন – 'তুই যেটাকে দীর্ঘশ্বাস বলিস , আমি বলি কর্মের ফল ! সে যতক্ষণ না আমার কাছে সবার সামনে মাফ চাইবে , আমি বলে দিলাম , ওর জন্য এই দীর্ঘশ্বাসের বিষাক্ত ধোঁয়া কোনোদিন কাটবে না !! তোকে আজ জনগণ যেভাবে মার্কেট থেকে অপমান করতে করতে বের করে দিসে , এটাই কিন্তু ট্রেন্ডিং হয়ে যাবে ! আল্লাহ না করুক , রোজ তোর সাথে এমন কিছু ঘটুক বা কারো সাথেই ঘটুক ! সব তোর লোভ , হিংসা আর তোর স্বামীর কুপরামর্শে ফলাফল ! একটা মানুষকে সবাই ঘৃণা করতে পারেনা ! ভুল স্বীকার কর ! ! সেটা না করে লাইভ এ এসে বলতেসে.. "এরকম হতেই পারে ! Who cares !!! " কতটা নির্লজ্জ , কতটা বুদ্ধি লোপ পেলে , এরকম আচরণ করতে পারে ! এমনতো ছিলোনা সে !! অনুরোধ , জনগণ এখনো ক্ষিপ্ত , কয়দিন আড়ালে থাকা ভালো , ইঁদুরমুখী নামটা ভুলতে সময় দিতে হবে ! তোদের ক্ষমা তনি গ্রহণ করলেও আমি Adolf Khan বা জনগণ করে নাই ! কারণ তারা জানে , বিপদ কেটে গেলেই তুই আবার অহংকারী এবং ক্ষতিকারক ! !শিক্ষকের মনে কষ্ট দিয়ে কোনোদিন কেউ বড় হয় নাই ! আমার চোখের পানির মূল্য তোকে প্রতিদিন দিতে হবে , যতক্ষন তোর অনুধাবন না হবে, বিবেক কাজ না করবে ! যতই মেকআপ এর প্রলেপে কষ্ট লুকাস , আমি জানি , তুই ভালো নেই ! আমি চিনি মানুষটা কে ! জলসা বন্ধ করে একটু বিরতি বা বিশ্রাম নেয়া উচিত ! ! আবারো বলছি , মাফ চাইলে কেউ ছোট হয়না ! আল্লাহ এবার তোকে হেদায়েত দিক !'

এর আগে সম্প্রতি ঢাকার একটি নতুন দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী এবং ব্র্যান্ড প্রোমোটর বারিশ হক উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে উপস্থিত জনতা হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং 'ভুয়া ভুয়া' স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে বুবলী, বারিশ হক এবং তার স্বামী সীমান্ত রহমান দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

এই ঘটনার পেছনে বারিশ হক এবং রুবাইয়াত ফাতিমা তনির মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বকে কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে, এই দুই ইনফ্লুয়েন্সারের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ দেখা গেছে, যা অনলাইনে বেশ আলোচিত হয়েছে। এই দ্বন্দ্বের প্রভাবই সম্ভবত জনতার এমন প্রতিক্রিয়ার কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এখনো এ বিষয়ে বুবলী, বারিশ হক বা সীমান্ত রহমানের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, এবং এটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ বলছেন, এটি পরিকল্পিত ছিল, আবার কেউ মনে করছেন, ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সিদ্ধান্ত যাই হোক, এই ঘটনা স্পষ্ট করেছে যে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বন্দ্ব বাস্তব জীবনের ঘটনাকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

Share this post

error: Content is protected !!