DMCA.com Protection Status
title=""

মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা

ক্যাপ্টেন (অবঃ) মারুফ রাজুঃ  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তার এই সিদ্ধান্তে রপ্তানি খাতের ঝুঁকি বেড়েছে বাংলাদেশের। তবে তা মোকাবিলায় এরইমধ্যে তোড়জোড় শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে করণীয় নির্ধারণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠকে বসেছেন। 

আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা ও কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার  হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান প্রমুখ। 

গত ৩ এপ্রিল আকস্মিক এই শুল্কারোপে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত। যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য।

বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা কিছুটা কমে আসবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা। এতে ভারত ও পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে যাবে বলেও মনে করেন তারা। তাদের ভাষ্যে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে, পাশাপাশি টিকফা চুক্তির আলোকে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বসতে হবে।

দুদেশের স্বার্থের ব্যাপারে সমঝোতা করলে বাংলাদেশের ওপর যে শুল্কারোপ করা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন তা তুলে নিতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তারা। বাংলাদেশ যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তৈরি পোশাক খাতের অর্ডার ভারত, তুরস্ক, মিসর ও হন্ডুরাসের মতো দেশগুলোতে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

Share this post

error: Content is protected !!