জনসমক্ষে নেকাব নিষিদ্ধ করার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উত্থাপিত বিল রুখে দিয়েছে বিরোধীদল লেবার পার্টি। গত শুক্রবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বিলটি উত্থাপিত হলে লেবারদলীয় বাঙালি এমপি রুশনারা আলীসহ লেবার এমপিরা এর তীব্র বিরোধিতা করেন।
সোমবার শ্যাডো জাস্টিস মিনিস্টার সাদিক খান এমপি'র পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮ ফেব্রুয়ারি লেবার এমপিদের তীব্র বিরোধিতার মুখে বিতর্কের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় থেমে গেল আইন করে নেকাব নিষিদ্ধের প্রচেষ্টা। ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান শরিক কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ফিলিপ হলোবোর্ন জনসমক্ষে নেকাব পরিধানকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে বিলটি এনেছিলেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিলটির ওপর দ্বিতীয় দফা বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং মুসলিম নারী এমপি রুশনারা আলী সোমবার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিলটি ছিল একটি প্রাইভেট মেম্বার বিল। পার্লামেন্টের প্রতিটি মেয়াদে প্রাইভেট বিলের জন্য একটি নির্দষ্ট সময় থাকে। শুক্রবার বিলটির দ্বিতীয় দফা বিতর্কে জোরালো কোন সমর্থন না থাকায় কৌশলগত কারণে বিলটি ভোটাভুটি পর্যায় পর্যন্ত যায়নি। তার আগেই থামিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, নারীদের নেকাব পরিধানকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে চেয়েছিলেন কনজারভেটিভ এমপি। কিন্তু এটা তাদের ধর্মীয় এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার পরিপন্থী। তিনি বলেন, যারা নেকাব পরিধান করতে চান এবং যারা পরিধান করতে চান না উভয়ের অধিকার রক্ষায় আমি সংগ্রাম করে যাব।
শ্যাডো জাস্টিস মিনিস্টার সাদিক খান তার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, অনেক নারী নেকাব বা ভেইল পরিধান করেন। এটা তাদের ব্যক্তিগত পছন্দের ব্যাপার। তিনি বিষয়টিকে অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করার ঘোর বিরোধী। তিনি বলেন, কেউ নেকাব পরিধান করল কী করল না সে বিষয়টি ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তিনি সকল প্রকার বৈষম্য রোধে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, আধুনিক ব্রিটিশ সমাজে বৈষম্যের কোন স্থান নেই।