DMCA.com Protection Status
title="৭

চলমান সংকট নিরসনে সংলাপ এবার হবেই হবেঃ আসছে তৃতীয়পক্ষ

142152960010চলমান সহিংস রাজনীতি থেকে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সংলাপ শুরু হয়েছে পর্দার আড়ালে।

এ সংলাপ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও অবরোধ-আন্দোলনে সক্রিয় বিএনপির সরাসরি হচ্ছে না। সংলাপ নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন তৃতীয়পক্ষ হিসেবে ঢাকার বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। এ সংলাপের লক্ষ্য সহিংসতা বন্ধে কার্যকর একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া এবং ভবিষ্যতে ক্ষমতাসীন ও বিএনপির মধ্যে সংলাপ হলে তার রোডম্যাপ তৈরি করা।

অবশ্য তৃতীয়পক্ষের এ সংলাপ কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। সূত্র জানায়, সরকার আপাতত মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে কোনো সংলাপে বসতে চায় না বিএনপির সঙ্গে। তবে নির্বাচনের বাইরে অন্য কোনো ইস্যু নিয়ে সংলাপে বসার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাতে পারে। অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কেউ-কেউ চান বিএনপি সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। যার মাধ্যমে সরকার তাদের সভা-সমাবেশ করতে অনুমতি দিক। এছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করুক।

তবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ মুহূর্তে সবার জন্য গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ‘বিষয়বস্তু’ ছাড়া অন্য কোনো ইস্যু নিয়ে সংলাপে বসতে রাজি নন। চলমান আন্দোলন নিয়ে বিএনপির চাওয়া-পাওয়া কী সে মনোভাব জানতেই বৃহস্পতিবার বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের বাসভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ৭ দেশের কূটনীতিকরা বৈঠক করেন।

এ বৈঠকের ফলোআপ হিসেবে তারা এখন ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গেও বৈঠক করতে চায়। এছাড়া পর্দার আড়ালের সংলাপে প্রতিবেশী দেশ ভারতও তাদের মতো শুরু করেছে। এছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি গতিপথ ও এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কার কী মনোভাব এসব বিষয় জানার চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশটি।

এসব বিষয় নিয়ে কথাবার্তা শুরু করেছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। বৃহস্পতিবার তিনি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদ এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছে। সহিংস রাজনীতি থেকে উত্তরণে প্রভাবশালী দেশটি কোনো সিদ্ধান্তে আসতে ভারতকে পাশে রাখতে চায়।

সে অনুযায়ী কূটনৈতিক যোগাযোগ চলছে। সূত্র জানায়, আগামী ২৫ জানুয়ারি ৩ দিনের ভারত সফরে আসার সূচি রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। সফরে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা।

বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি বিশেষ করে বাংলাদেশ ইস্যু আলোচিত হতে পারে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে। দুই নেতার শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে নতুন কোনো বার্তাও আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওবামার সফর দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

কূটনৈতিক একটি সূত্র জানায়, ওবামা-মোদি শীর্ষ বৈঠকের আগে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক অবস্থা মোদির কাছে তুলে ধরবেন। সূত্র জানায়, বারাক ওবামার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিএনপি চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের গতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এরই অংশ হিসেবে অসহযোগ কর্মসূচিতে যাওয়ার চিন্তাও মাথায় রয়েছে দলটির নীতি নির্ধারকদের।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!