DMCA.com Protection Status
title="৭

বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরকার লাভবান হচ্ছেঃ জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধী ড.আব্দুল মোমেন

unnamedজাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আন্দোলনে নামে যে নাশকতা চলছে বিশ্বের অন্যান্য দেশ এধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পছন্দ করে না। এটি কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয় বলে জাতিসংঘ এ নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির এসব কর্মকাণ্ডে সরকারই লাভবান হচ্ছে বলে মন্তব করেন তিনি।

মোমেন বলেন, ‘বিএনপির চলমান সহিংসতায় জাতিসংঘ থেকে সরকারের ওপর কোনো ধরনের চাপ পড়েনি। কেননা এটা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’

তিনি বলেন, ‘দেশ ভালো চলছে, তাই আমরাও জাতিসংঘে ভালো অবস্থানে আছি। ২০১৪ সাল জাতিসংঘে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ ছিল। শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশের (পুরুষ ও নারী) অংশগ্রহণ বেড়েছে। বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ সদস্য শান্তি মিশনে কাজ করছে।’

ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি মডেল হিসেবে পরিচিত। কোনো নেতিবাচক প্রচারণায় দেশের এ অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারেনি। বাংলাদেশ ভালো করছে, তাই এদেশের শত্রুও বেড়েছে। যে দেশ ভালো করে তাদের শত্রু থাকে, এটাই স্বাভাবিক। যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছি ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হবে।’

জাতিসংঘে বাংলাদেশের এ স্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, ‘মানবতা বিরোধিদের বিচার নিয়ে কোনো দেশ কথা বলেনি। এমনকি অনানুষ্ঠানিকভাবেও এ বিষয়ে জাতিসংঘে কেউ আমাকে জিজ্ঞেসও করেনি। সকলেই এ বিচারের পক্ষে আছে।’

মতবিনিময়কালে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, জেলার যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ প্রমুখ।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!