দেশের চলমান সহিংসতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠেয় সরস্বতী পূজা বাতিল করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার সকালে এই পূজা অনুষ্ঠিত হবে সংসদ ভবনের পাশে অবস্থিত রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
প্রথমবারের মতো এ পূজা সংসদের মেডিকেল সেন্টার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ নিয়ে পূজা কমিটি মাসব্যাপী প্রস্তুতিও নিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ আয়োজন সরিয়ে নিতে হয়েছে।
সংসদের ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস এম সাদরুল আহমেদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে সংসদ ভবনে সরস্বতী পূজা বাতিল করা হয়েছে।’
জানা যায়, আইনশৃঙ্খলার কথা বিবেচনা করে শেষ মুহূর্তে পূজার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশন চলাকালীন সময়ে পূজার এমন আয়োজনে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় এটি সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ এমপি (বরিশাল-৪) এ পূজার উদ্যোগ নেন। এ জন্য তিনি স্পিকারের অনুমতি চেয়ে পত্রও দেন। পরে স্পিকার বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ চিঠি পাঠান। প্রধানমন্ত্রীও এমন আয়োজনের জন্য সুপারিশ করেন। এ পূজাকে সফল করতে সংসদের অতিরিক্ত সচিব প্রণব চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
এ বিষয়ে প্রণব চক্রবর্তী এই জানান, ‘জাতীয় সংসদে পূজার আয়োজন বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। এজন্য সংসদের হিন্দু প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের ১০০০ দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের ৫০০ ও তৃতীয় শ্রেণির ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তাদের ১০০ টাকা চাঁদা ধরা হয়েছে। পূজার দিন সংগীতানুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। তবে এখন স্বরস্বতী পূজা রাজধানী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। কারণ দেশের অবস্থা ভাল না। এ সুযোগে সংসদে প্রবেশ করে কেউ যাতে নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য পূজামণ্ডপ সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’