ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সব শ্রেণী-পেশার লক্ষ লক্ষ সাধারন মানুষ অংশ নিলেও যাননি কেবল সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতা- কর্মীরা । জানাজায় অংশ না নেয়ার বিষয়টি দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে আগেই নিশ্চিত করেছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
মঙ্গলবার বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কোকোর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
জানাজার ঠিক আগে শাহে আলম মুরাদকে ফোন করা হলে তিনি দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমাদের নেত্রীকে তারা (বিএনপি) অপমান করেছে, তাহলে কেন সেই জানাজায় যাবো?’
‘কিন্তু মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া তো বলেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা জানাজায় যাবেন’ এর জবাবে মুরাদ বলেন, ‘মায়া ভাই কি বলেছেন সেটা তিনিই জানেন। আমরা জানাজায় যাবো না।’
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, ‘কোকোর জানাজায় যেতে আমাদের দলগতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ যেতে চায় যাবেন।’
গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় আওয়ামী লীগ নেতারা অংশ নেবে।
এদিকে কোকোর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বেগম জিয়াকে সমবেদনা জানাতে শনিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে খালেদা জিয়াকে ওই সময় ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখায় দুই নেত্রীর দেখা হয়নি। ফলে প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের মূল ফটক থেকেই ফিরে আসতে হয়।
উল্লেখ, শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আরাফাত রহমান কোকো। বুকে ব্যথা ওঠার পর হাসাপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।