বাংলাদেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নেবে জাতিসংঘ। মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক ১৯ ফেব্রুয়ারি এ কথা বলেছেন নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে।
ওদিকে বান কি মুনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। এ সময়ে চলমান সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন।
বিরোধীদের সঙ্গে সরকারকে গঠনমূলক সংলাপেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ব্রিফিংয়ে বার বার উঠে আসছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। এতে বার বার রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। উদ্বেগ প্রকাশ করছে জাতিসংঘ। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ এ ব্রিফিংয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
স্টিফেন ডুজাররিক প্রশ্নোত্তর পর্বেই জানান, আগের দিন তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে যোগাযোগ নিয়ে।
ডুজাররিক বলেন, “আমি আপনাদের বলতে পারি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্প্রতি চিঠি লিখেছেন মহাসচিব বান কি মুন। তাতে বলা হয়েছে, মহাসচিবের হয়ে বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে কাজ করছেন সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো।”
এখানে প্রশ্নোত্তর আকারে ওই ব্রিফিং তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: আপনাকে ধন্যবাদ স্টিফেন। আমি মুশফিকুল ফজল। আপনি যেমনটা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিঠি লিখেছেন মহাসচিব। ওই চিঠি পাওয়ার পর আমরা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রতিক্রিয়া দেখেছি। মহাসচিব বান কি মুন যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানিয়েছে তারা। অন্যদিকে সরকার পক্ষ যেকোন ধরণের সংলাপের প্রসঙ্গ একেবারে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেছেন, কোনো সংলাপের সুনির্দিষ্ট প্রশ্নই আসে না। অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো রুটিন চিঠি (নিয়মিত যেভাবে চিঠি দেয়া হয়) পাঠিয়েছেন। মহাসচিব বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সুতরাং সংলাপ বা এ রকম কোন ঘটনাই এবার ঘটবে না।
অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে বিরোধীদের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের জন্য কোন সংলাপের বা অন্য কোন উদ্যোগ নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তাই পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কোন সংলাপের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাহলে এ ইস্যুতে আপনাদের অবস্থান কি?
উত্তর: আমরা এ বিষয়ে আগেই বলেছি, জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অস্কার ফার্নান্দেজকে মহাসচিবের পক্ষে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি পরিস্থিতির ওপর দৃষ্টি রাখছেন এবং প্রয়োজনে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।