DMCA.com Protection Status
title="৭

সীমাহীন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বানঃ সালাহউদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজির না করায় উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ বেগম খালেদা জিয়া,কাল সংবাদ সম্মেলন

BNPসংবাদপত্রে প্রকাশ ও অন্যান্য সংবাদ-মাধ্যমে প্রচারের উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন, ২০ দলীয় জোট নেত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী  বেগম খালেদা জিয়া আজ এক  
বিবৃতি তে বলেন,“বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির না করা এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আটক করার কথা অস্বীকৃতির ঘটনায় আমি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ। আমি এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
 
বৃহস্পতিবার চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
 
বেগম খালেদা জিয়া বলেন,“বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও অন্যতম যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের পর থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের হয়ে কেউ কথা বললেই বর্তমান শাসক গোষ্ঠী তাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় জাড়িয়ে দেয়ার এক স্বৈররীতি চালু করেছে। সে কারণে সালাহউদ্দিন আহমেদ গ্রেফতার এড়িয়ে দল-জোটের পক্ষ থেকে বক্তব্য-বিবৃতি প্রদান ও কর্মসূচি ঘোষনা করে আসছিলেন। এতে ক্ষমতাসীনেরা যে তার ওপর প্রচন্ড ক্ষুব্ধ ছিল তা তাদের শীর্ষ পর্যায় থেকে ব্যক্ত ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট হয়েছে।
 
খালেদা জিয়া বলেন,“আইন-শৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে গত মঙ্গলবার রাতের আঁধারে দরোজা ভেঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদকে চোখ বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে তুলে নেয়ার ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের সেই ক্রোধেরই বহি:প্রকাশ ঘটেছে।
 
তিনি বলেন,“সালাহউদ্দিন আহমেদকে এভাবে তুলে নিয়ে যাবার ঘটনার ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা অভিযোগ গ্রহনে পুলিশের অস্বীকৃতিরও আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এখন দেশে আইন যে স্বাভাবিক গতিতে চলছে না, এটা তার জ্বলন্ত প্রমান। জাতীয় পর্যায়ের একজন রাজনীতিকের ক্ষেত্রে যেখানে এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সেখানে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা যে কতখানি অনিশ্চিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
 
খালেদা জিয়া বলেন,“জনপ্রতিনিধিত্বহীন শাসক গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচারিতা দেশে এখন এক চরম অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি করেছে। যাকে যখন ইচ্ছা গ্রেফতার, অপহরণ, গুম ও খুন করা হচ্ছে। গ্রেফতারের পর অনেকের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। অনেকের হদিসও মিলছে না। বিএনপি’র গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ সারা দেশে শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের পর অস্বীকারের উদ্বেগজনক প্রবণতাও এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সালাহউদ্দিন আহমেদের ঘটনায় আমরা দারুণভাবে উৎকণ্ঠিত। ক্ষমতাসীনেরা এর দায় এড়াতে পারে না এবং তাদের কোনো কৈফিয়ৎ কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হবে না।
 
তিনি বলেন,“সালাহউদ্দিন আহমেদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় আমি সেই মুনাজাত করছি। অনতিবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। বিবেকবান প্রতিটি নাগরিক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ করছি, এধরনের সীমাহীন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।”
 
আগামীকাল সংবাদ-সম্মেলন
 বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশের চলমান পরিস্থিতি এবং বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এক সংবাদ-সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।

সংবাদ-সম্মেলনটি হবে আগামীকাল ১৩ মার্চ, শুক্রবার বিকেল চারটায় বিএনপি চেয়ারপার্সন অফিসে (বাড়ি -৬, সড়ক- ৮৬, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২)।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!