শ্রমবাজারে ব্যাপক বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী কর্মীদের বিশাল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সঠিক পদক্ষেপ না নেয়ায় শ্রমবাজার হাত ছাড়া হচ্ছে। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারলে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনশক্তি রফতানির দেশ। দক্ষ জনশক্তির অভাবে অনেক জনশক্তি রফতানিকারক দেশ এখন জনশক্তি আমদানি শুরু করছে। জনশক্তি রফতানিকারক দেশ শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ইতোমধ্যেই বিদেশ থেকে কর্মী আমদানি শুরু করেছে। চীনও দক্ষ জনশক্তি আমদানির পথে হাঁটছে। বায়রার শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের দক্ষতা অর্জনে সারা দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের আচার-আচরণ উন্নতকরণে যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিভিন্ন দেশে কিছু কিছু কর্মী অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ায় এবং অবৈধ কর্মীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশী কর্মীদের উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অনেকেই। জনশক্তি রফতানির সব চেয়ে বড় বাজার সউদী আরবে বর্তমানে প্রায় ২০ লাখ কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জন করছে। ২০০৯ সাল থেকে সউদী আরবে অঘোষিতভাবে কর্মী নিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে। অন্যতম শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। তারা হাতে গোনা কিছু কর্মী নিচ্ছে। কুয়েত সরকার ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। সউদী আরব থেকে প্রায় ৩২ হাজার ও মালদ্বীপ থেকে ৪০ হাজার বাংলাদেশী কর্মী দেশে ফেরার অপেক্ষায়। প্রতি মাসেই সউদী আরব, মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫শ প্রবাসী কর্মী খালি হাতে দেশে ফিরছে। হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। বন্ধকৃত শ্রমবাজারগুলো এখনো পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারগুলো পুনরুদ্ধার করতে হলে ঐ অঞ্চলে কূটনৈতিক তৎপরতা ব্যাপকহারে জোরদার করতে হবে। শ্রমবাজার ধরে রাখতে এবং রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়াতে হলে দক্ষ জনশক্তি রফতানির বিকল্প নেই। জনশক্তি রফতানিকারক দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। সুজন-এর সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে একথা বলেন। তিনি বলেন, বহির্বিশ্বে দক্ষ জনশক্তির বিরাট চাহিদা রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে হবে সকল খাতেই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য সরকারকে জনশক্তি রফতানি খাতে আরো বৃহৎ আকারে পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়াতে হবে। বদিউল আলম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের পদে পদে হয়রানি বন্ধ এবং তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়াতে হবে। দেরিতে হলেও মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জাতীয় অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখতে হলে শ্রমবাজারকে আরো ব্যাপক সম্প্রসারণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন আগামী ১২ মার্চ ঢাকায় বসবাসকারী মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিকদের সম্মানে এক বৈঠক আহ্বান করেছেন। ঐ বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আরো অধিকহারে কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানানো হবে। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও বন্ধকৃত শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে করণীয় বিষয়গুলো নির্ধারণের লক্ষ্যে আগামী এপ্রিল মাসে রিয়াদে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী মিশন প্রধানদের নিয়ে এক সম্মেলন করার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রায় ৮৫ লাখ অভিবাসীর পাঠানো রেমিটেন্সের উপরই জাতীয় অর্থনীতির ভীত দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সউদী বাদশার মহানুভবতায় সউদী শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব (সেবা ও সম্পর্ক)- যিয়াদ বিন ইব্রাহিম আল দায়র স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সউদীতে প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগকর্তা ও পেশার পরিবর্তন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে সউদী আরবে কর্মরত লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হলো। ২০১৩ সালে সউদী বাদশার মহানুভবতায় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ লাখ লাখ বাংলাদেশী বৈধতা লাভের সুযোগ পেয়েছে। সাধারণ ক্ষমার আওতায় প্রায় ৬ লাখ অবৈধ বাংলাদেশী কর্মী বৈধতা লাভ করেছে। এদিকে, সউদী কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করায় তাদের মধ্যে ব্যাপক আশার আলো জেগেছে। সউদী সরকারও ঐ দেশে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের ভাগ্যোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বন্ধকৃত শ্রমবাজারগুলো পুনরুদ্ধারে সর্বোচ্চ কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। বহির্বিশ্বের উল্লেখযোগ্য শ্রমবাজারগুলোতে কর্মসংস্থান লাভের আশায় বিএমইটির অধীনে সারা দেশ থেকে প্রায় ২২ লাখ কর্মী ২০১৩ সালের শেষের দিকে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। সোর্স কান্ট্রিগুলো বাংলাদেশ থেকে নিবন্ধনকৃত উল্লেখিত ২২ লাখ দক্ষ-অদক্ষ কর্মীর তালিকা থেকে বাছাই করে কর্মী আমদানি করতে পারে। এ লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আগামী ১২ মার্চ সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশে অবস্থানরত মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিকদের নিয়ে জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত এক বৈঠকের আয়োজন করেছে। ঐ বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সেন্ডিং কান্ট্রি হিসেবে বাংলাদেশী কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি তুলে ধরবে বিদেশি কূটনৈতিকদের সামনে। আরো অধিক হারে বিএমইটির নিবন্ধনকৃত তালিকা থেকে বাছাই করে কর্মী নিয়োগের অনুরোধ জানানো হবে ঐ বৈঠকে। বিএমইটির মহাপরিচালক মোসাম্মৎ বেগম শামছুন্নাহার গতকাল তার দপ্তরে দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে এ তথ্য জানান। মোসাম্মৎ বেগম শামছুন্নাহার বলেন, শ্রমবাজার সম্প্রসারণে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর ব্যাপক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং সউদী সরকারের মহানুভবতায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় কয়েক লাখ অবৈধ প্রবাসী কর্মী বৈধতা লাভ করেছে। সউদী সরকার গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়োগকর্তা ও পেশা পরিবর্তনের সুযোগ দিয়েছে। বিএমইটির মহাপরিচালক বলেন, সউদী আইন-কানুনের প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশীদের শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকা- থেকে বিরত থাকার লক্ষ্যে রিয়াদ ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকায় গত এক মাস যাবত মাইকিং, লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। বিএমইটির মহাপরিচালক বলেন, বিগত ৫ বছর বিভিন্ন দেশে ২৪ হাজার ৫১ হাজার কর্মী চাকরি লাভ করেছে। শ্রমবাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আগামী ১০ মার্চ রাতে ওমান থেকে ওমানের শ্রমমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালেহ আইল আল আমরীর নেতৃত্বে ৪ সদস্য প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসে পৌঁছবে। গতকাল ওমান থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর লেবার মেজর এ কে এম রবিউল ইসলাম দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পূর্ব শ্রম চুক্তি অনুযায়ী এ প্রতিনিধি দল তৃতীয় বৈঠকে যোগ দিতে ঢাকায় যাচ্ছেন। ওমানের প্রতিনিধি দল প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিক বৈঠক করবেন। তারা ঢাকা সফরকালে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ওমানে বর্তমানে বৈধভাবে প্রায় ৫ লাখ কর্মী চাকরি করছে। জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে রেমিটেন্স (প্রবাসী আয়) কমেছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছে ১১৬ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। জানুয়ারি মাসে প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১২৬ কোটি ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার। এদিকে গত ডিসেম্বর মাসের চেয়েও ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিটেন্স কমেছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে রেমিটেন্স ছিল ১২১ কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলার। তবে, ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসী আয় এর আগের অর্থ বছরের একই সময়ের প্রায় সমপরিমাণ।বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। ২০১১-১২ অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৮৪ কোটি ডলার। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেমিটেন্স দাঁড়িয়েছে ৯১৯ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। রেমিটেন্স কমার পেছনে জনশক্তি রফতানি হ্রাস, প্রবাসী শ্রমিক ফিরে আসা, খোলা বাজারের চেয়ে ব্যাংকে ডলারের বিনিময় হারের পার্থক্য, বিনিয়োগ কমে যাওয়া, হুন্ডি তৎপরতা বৃদ্ধির কারণই দায়ী বলে চিহ্নিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ১৫৭টি দেশে প্রায় ৮৫ লাখের মতো বাংলাদেশি কর্মরত আছে। বায়রার ইসির সদস্য ও সাবেক যুগ্ম মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান গতকাল দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, শ্রম বাজারের ধস ঠেকাতে হলে সরকারী ও বেসরকারী রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি বলেন, জনশক্তি রফতানির হার বাড়াতে হলে বিদেশ গমনেচ্ছুকর্মীদের কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চারিত্রিক গুণগতমান উন্নত করতে বিদেশে আচরণ বিধির উপর কঠোর ট্রেনিং দিতে হবে। কর্মীদের বিমানে আরোহণের এক দিন আগে দুই এক ঘণ্টা ব্রিফিং দিলেই চরিত্র উন্নত হবে না। এজন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। কর্মী আমদানীকারক দেশগুলোকে বুঝাতে হবে আমরা কর্মীদের নৈতিক চরিত্র উন্নত করতে সক্ষম হয়েছি। তাহলেই বন্ধকৃত শ্রম বাজারগুলো বাংলাদেশের জন্য উন্মুক্ত হবে। মধ্যপ্রাচ্যের কোন কোন দেশে কিছু কর্মীর অনৈতিক কর্মকান্ডে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ করছে। বায়রা নেতা নোমান বলেন, জনশক্তির খাতকে চাঙ্গা করতে হলে কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনশক্তি রফতানির দেশ। জনশক্তি রফতানির দেশ শ্রীলংকা, থাইল্যান্ডও এখন কর্মী আমদানী করছে। চীনও কর্মী নিতে শুরু করছে। কিছু দিন পর জনশক্তি রফতানির বড় দেশ ভারতও কর্মী রফতানি কমিয়ে দিবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি (মধ্যপ্রাচ্য) নজরুল ইসলাম দৈনিক প্রথম বাংলাদেশের সাথে আলাপকালে বলেন, সউদী সরকার বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগকর্তা ও পেশা পরিবর্তনের সুযোগ দিয়ে র্দীঘদিনের আশা পূরণ করেছে। সউদী থেকে ৩২ হাজার বাংলাদেশী দেশে ফেরার অপেক্ষায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সংখ্যা এখন আরো কমে গেছে। সউদীর তাবুক থেকে সউদী প্রবাসী কল্যাণ সমিতি;র সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম টেলিফোনে দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে জানান, সউদী সরকার বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগকর্তা ও পেশা পরিবর্তনের সুযোগ দিয়ে প্রবাসী কর্মীদের ভাগ্য খুলে দিয়েছেন। এ জন্য তিনি সউদী বাদশার দীর্ঘায়ু কামনা করেন। যে সমস্ত প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে তাদেরকে তিনি সউদী আরবে বৈধতা দেয়ার জন্য সউদী বাদশার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।