আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “এক বছর মানুষ শান্তিতে ছিল। আমরা দেশকে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তখন আবার কথা নেই বার্তা নেই ৬ জানুয়ারি থেকে অবরোধ-হরতাল শুরু করে দিয়েছেন। মানুষ বিরক্ত হয়ে গেছে। হরতাল-অবরোধ কেউ মানছে না।”
বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৫ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বানচালের অনেক চেষ্টা করেছিল। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছিল। কিন্তু নির্বাচনে দেশের ৪০ ভাগ মানুষ ভোট দিয়েছে।” বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ‘সন্ত্রাসের রানী’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এই জঙ্গি নেত্রীর স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। যারা দেশের মানুষের ক্ষতি করবে তার ক্ষমা বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।” জ্বালাও, পোড়াও, হত্যা ও জঙ্গি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে দল মানুষ পুড়িয়ে মারে, যে দল জঙ্গি কর্মকান্ড করে সে দলকে মানুষ কিভাবে ভোট দেবে? বিএনপির লক্ষ্য দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া। তার কারণ একটাই- তারা দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। জঙ্গিরা যেভাবে কার্যক্রম চালায় ঠিক সেভাবে তারা দেশে জঙ্গি কার্যক্রমে লিপ্ত। এরাতো জঙ্গির দল। এই জঙ্গি দলের স্থানতো বাংলার মাটিতে হবে না।”
বিএনপি নেত্রীর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “উনারতো দিলে আছে পেয়ারে পাকিস্তান। উনার দেহটা এখানে, আর হৃদয়টা পাকিস্তানে। তাই দেশের উন্নয়ন তার সহ্য হয় না। বাংলাদেশে কে আছে যে ঘর ছেড়ে অফিসে বসে থাকে।” তিনি বলেন, “তাকে ফেরারি আসামি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তারতো উচিৎ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পন করা। কিন্তু তিনি আদালতকে অবমাননা করেন। এতিমদের টাকা চুরি করতে পারে আর মামলা মোকাবিলা করার সাহস নেই।” “উনি জ্বালাও পোড়াও করে দুর্নীতি মামলা থেকে রেহাই পেতে চান, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চান। এটাই তার চরিত্র।
শেখ হাসিনা বলেন, তার ছেলে মারা গেলো। আজ পর্যন্ত ছেলের কবর জিয়ারত করতে যাননি। আদালতে যাতে যেতে না হয় এজন্য চল্লিশার অজুহাত তুললেন। যার নিজের ছেলের প্রতি দরদ নেই, তার দেশের মানুষের প্রতি কি দরদ থাকবে?”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ করে জয়ী একটি জাতি তারা ভিক্ষা করতে পারে না। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ তাদের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ ধরে রাখতে পেরেছে। ঠিক সেই সময় দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা কি বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করবে?”