ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গতকাল ২৪ শে মার্চ'১৫, মঙ্গলবার সকাল ১১.০০টায় ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সহায়তা পরিকল্পনার ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয় । শুনানীতে শীগ্রই বাংলাদেশের রাজনীতিকরাই চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল ।
কংগ্রেসম্যানদের এক প্রশ্নের জবাবে বিসওয়াল বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতির ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। আশা করছি পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে শিগগিরই রাজনীতিকরা শান্তিপূর্ণ সমাধানে উপনীত হবেন।” বাংলাদেশে গণতন্ত্র এগিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রত্যাশিত উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতির বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্সের সাব কমিটি ‘অন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ আয়োজিত শুনানিতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নিশা দেশাই বিসওয়াল এবং ইউএস এইডের এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী প্রশাসক জোনাথন স্টিভার্স।
সভাপতিত্ব করেন সাব-কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান ম্যাট সালমন। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ উপদেষ্টা ও বিএনপির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী উক্ত শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন।
২১৭২ র্যাবার্ন হাউজ অফিস ভবনে অনুষ্ঠিত শুনানিতে অংশ নেন সাব কমিটির সদস্য গ্রেস মেং, ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শারমেন, এমি বেরা, ও হাইয়োর স্টিভ শ্যাবট ও জেফ ডানকান। বিসওয়াল তার বক্তব্যে লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধানে যেসব মৌলিক অধিকার রয়েছে তার চর্চা করছিলেন মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ, কিন্তু বাংলাদেশের চলমান পেক্ষাপটে তার অভিমত ব্যক্ত করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই ।
“অভিজিত হত্যায় জড়িতদের তদন্তে সহায়তা করছে এফবিআই। ঘাতকদের বিচারে সোপর্দ করতে যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর।”
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন লেখক অভিজিৎ রায়। এ সময় চাপাতির আঘাতে তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও আহত হন। চাপাতির কোপে একটি আঙুল হারানো বন্য যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছেন। মাথায়ও জখম রয়েছে তার। অভিজিৎ ও বন্যা দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এই ঘটনার তদন্তে সহায়তা দিতে এফবিআইয়ের একটি দল ঢাকায় এসে হামলার স্থান পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্সের সাব কমিটি ‘অন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ আয়োজিত শুনানিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পূর্বেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জিএসপি বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র। গণতন্ত্রের কাঠামো এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে আরো অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে কথা বলেন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা। ২০১৬ অর্থবছরে ইউএসএইড দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সহায়তার জন্য যে প্রস্তাব করেছে সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চালাবে সাব কমিটি ‘অন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কিভাবে জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে কাজ করছে এবং এ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় মার্কিন স্বার্থ সংরক্ষিত হচ্ছে কি না টা চূল চেরা অনুসন্ধান করবে এই কমিটি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তানে প্রত্যাশা অনুযায়ী মানবাধিকার উন্নয়ন হচ্ছে কি না তাও পর্যালোচনা করা দেখবে যুক্তরাষ্ট্র।
For Reference :
Bangladesh continues to face severe political challenges – US Congress
http://foreignaffairs.house.gov/hearing/subcommittee-hearing-us-rebalance-south-asia-foreign-aid-and-development-priorities
Subcommittee on Asia and the Pacific | 2172 Rayburn House Office Building Washington, DC 20515 | Mar 24, 2015 11:00am to 1:00pm
Chairman Salmon on the hearing: “The relationship between the United States and countries in South Asia concerning democracy promotion and economic growth is ripe for cooperation. However, the region also faces significant challenges. The Maldives is increasingly a hub for foreign fighters and religious extremism. ""Bangladesh continues to face severe political challenges"" and labor issues. India must address development challenges for a significant part of its population. The United States uses limited resources to assist South Asian nations to facilitate its democratic infrastructure and economic development. This hearing will investigate the Administration’s FY 2016 budget request for the Department of State and the Agency for International Development as it relates to U.S. priorities in South Asia. We will discuss how U.S. expenditures in South Asia may best serve U.S. interests in the face of the region’s shifting geopolitical landscape, increasingly complex security outlook, lingering human rights issues, and enduring development challenges.”
Witnesses
The Honorable Nisha Desai Biswal
Assistant Secretary
Bureau of South and Central Asian Affairs
U.S. Department of State
The Honorable Jonathan Stivers
Assistant Administrator
Bureau for Asia
U.S. Agency for International Development