ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি হাইওয়ে সড়কে পাশে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় বাসের ২০ যাত্রী গুরুতর আহত হন।
এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় গভীর দূঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন,রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
চালকের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে অভিযোগ করেছেন আহত যাত্রীরা। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবী এলাকায় সোনারতরী পরিবহনের ওই বাসটি (ঢাকা-মেট্রা: ব ১৪৭০৭৪) এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসেন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বুধবার রাত ৯টায় রাজধানীর গাবতলী থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওয়ানা দেয় বাসটি। হতাহত যাত্রীদের অধিকাংশের বাড়ি বরিশাল ও পটুয়াখালী বলেও জানান তিনি।
নিহতদের মধ্যে আকলি আক্তার, আসমা, আমেনা, হেলাল ও শাহিনের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। এছাড়া শফিকুলের বাড়ি (২৫) গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর, আবজাল মিয়া (৬৫) ও সূর্য বেগমের (৪০) বাড়ি বরিশাল, রেজাউল (৩৫) মির্জাগঞ্জ ও মনিরুল ইসলাম (৩৫) যশোরের বাসিন্দা। অপর নিহত হাসনা বেগমের (৪৫) ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসক সরকার শরাফত আলী এ ঘোষণা দেন। আহত যাত্রীদের বরাত ওসি আরও জানান, রাজধানী ছাড়ার পর বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে থাকেন চালক। আমিনবাজার ব্রিজ পার হওয়ার পর বেশ কয়েকটি বাসকে বেপরোয়া গতিতে ওভার টেক করেন চালক। যাত্রীরা চালককে নিষেধ করলেও তিনি শোনেনি বলেও জানান ওসি হোসেন সরকার।
এরপর ভাঙ্গার কৈডুবী এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৯ যাত্রী মারা যান। ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান ৩ যাত্রী। আর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ২১ যাত্রীর মধ্যে চিকৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আরও ৩ যাত্রী।
বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ১৮ যাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আরিফ ইসলাম।