চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার,আওয়ামী লীগের নব্য নেতা ও এই দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাসির!! চট্টগ্রামের একসময়ের দূধর্ষ সন্ত্রাসী আ জ ম নাসির ক্যাডার রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে স্থান করে নেন!প্রত্যেকের একটা অতিত থাকে এবং সেই অতিতের বিভিন্ন কর্মকান্ড যখন হয় চরম প্রশ্নবিদ্ধ তখন আমরা বিচলিত না হয়ে পারি না।
আ জ ম নাসিরের বিরূদ্ধে অসংখ্য খুন, চাঁদাবাজি, অবৈধ দখলের মামলা ছিল, বিগত বিএনপি সরকারের সময় ক্রসফায়ারের ভয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান তিনি! আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজনীতিক বিবেচনায় সেই সব মামলা বাতিল করা হয়!
বর্তমানে চট্টগ্রামের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাসির গ্রুপ নামে তার ক্যাডার গ্রুপ আছে! এসব ক্যাডার গ্রুপের বিরুদ্ধে খুন, ছিনতাই, চাদাবাজি, টেন্ডার বাজি, নারী কেলেংকারী, মাদক ব্যবসা, চোরাকারবারি সহ অসংখ্য অপরাধের অভিযোগ আছে, আর এর সব কিছুর নীরব সহায়তাকারী হিসেবে রয়েছে সন্ত্রাসের গডফাদার আ জ ম নাসির!
কিছুদিন পূর্বে আলোচিত সিআরবি হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি ছাত্রলীগের সাইফুল ইসলাম লিমন আ জ ম নাসিরের অন্যতম ক্যাডার! এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও তার প্বার্শবর্তী এলাকায় রয়েছে আ জ ম নাসিরে শতাদিক ক্যাডার! বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক কয়েকটি হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ছিল আ জ ম নাসিরের ক্যাডাররা!
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চুরি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন করে আ জ ম নাসিরের ক্যাডাররা! আ জ ম নাসিরের ক্যাডার ছাত্রলীগের দিয়াজ ও মামুনের বিরূদ্ধে ক্যাম্পাসের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে, এছাড়া আরেক ক্যাডার ছাত্রলীগের রাকিব কিছুদিন আগে একটি মেয়ের গোপন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আশে পাশের এলাকায় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন করে নাসিরের আরেক ক্যাডার ছাত্রলীগের খালেদ ও তার ভগ্নিপতি মান্নান! ইত্যিপূর্বে মাদক আনতে গিয়ে কুমিল্লায় পুলিশের হাতে আটক হয় মান্নান, পরে আ জ ম নাসিরের সহযোগীতায় ছাড়া পায়!
এককথায় এসব ক্যাডারদের সব অপকর্মের সহায়তা ও আইনের হাত থেকে রক্ষা করে এই গডফাদার আ জ ম নাসির!! এছাড়া আ জ ম নাসিরে প্রত্যেক ক্যাডার অবৈধ অস্ত্রধারী, বিভিন্ন সময় এরা এসব অস্ত্র দিয়ে হত্যা ও চাঁদাবাজি লিপ্ত হয়! চট্টগ্রাম শহরের প্রতিটি মহল্লায় নাসিরের ক্যাডার বাহিনী চাঁদাবাজি, ছিনতাই নিয়ন্ত্রন করে।
এদের কাছে জিম্মী পুরো চট্টগ্রামের মানুষ!এদের ভয়ে কোন সাংবাদিক পর্যন্ত একলম লেখার সাহস পায়না।ইতিমধ্যে এই ক্যাডার বাহিনী ঘোষনা দিয়েছে নির্বাচন কেন্দ্র দখলে নিয়ে পাহারা দেওয়ার! অতএব বুঝাই যাচ্ছে আ জ ম নাসিরের দল কেন্দ্র দখল করে ভোট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে! তাই চট্টগ্রাম নগর বাসীকে এব্যপারে সব সময় সজাগ থাকতে হবে! আসুন, সবাই মিলে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করি! আসুন মানবতা ও জনগনের বিজয় নিশ্চিত করি, সন্ত্রাসকে নির্মূল করি!!!
শুধু মাত্র ক্যাডার আর পেশীশক্তির উপর নির্ভর করে এবং সর্বসাধারনের ভেতর সিমাহীন ভয়ভীতি এবং ত্রাসের সঞ্চার করে এধরনের একজন ব্যক্তি বাংলাদেশের বানিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের নগরপিতা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন,সচেতন জনতা কি তা বাস্তবে রুপ নিতে দেবে কখনও,মনে হয় না।