প্রায় এক মাস হয়ে গেলো হাসিনা আহমেদের স্বামী বিএনপির সিনিয়র নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উত্তর ঢাকার তার এক বন্ধুর বাসা থেকে চোখ বেঁধে সাদা পোশাকের সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই আর তার হদিস মেলেনি।
‘আমি শুধু আমার স্বামীকে ফেরত চাই, আর কিছু চাই না,’ বলছিলেন হাসিনা আহমেদ। তার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে আসছিল। এখন বিশিষ্ট বাংলাদেশিরা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যকার ক্রমবর্ধমান তিক্ত বিরোধে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
প্রথমত তারা শঙ্কিত যে শেখ হাসিনার শাসন এখন এতোটাই নিপীড়নমূলক যে ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে তিনি যে প্রতিহিংসার শিকার হবেন সে কারণে তিনি সরকার পরিবর্তনের কথা ভাবতেই পারছেন না।
ফলে স্বাভাবিকভাবে সরকার পরিবর্তনের পথ রুদ্ধ করে তিনি স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের দিকে ঝুঁকছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বের প্রভাবশালী পত্রিকা ফিনান্সিয়াল টাইমস ।
গুলশানের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসে হাসিনা আহমেদ যখন কথা বলছিলেন তখন তার পাশেই ছিল তার এক সন্তান। ‘তারা কেন তাকে আদালতে হাজির করে না?এভাবে তুলে নেয়ার কোনো অধিকার তাদের নেই। আমার চারটি সন্তান আছে।’ বাইরে থেকে দেখলে ঢাকার ব্যস্ত ও আধুনিক সড়ক অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতই, এর অর্থনীতিও দ্রুত বিকাশমান।
১৯৯০ সালে সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর থেকেই প্রধানত মুসলিম অধ্যুষিত প্রায় ১৬ কোটি মানুষের এই দেশটিতে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র লক্ষ্য করা গেছে, যদিও মাঝে মাঝে সহিংসতা এবং অকার্যকর গণতন্ত্রও ছিল।
তবে বাংলাদেশিরা এখন বলছেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের নিখোঁজ হওয়াটা হলো গত ২৫ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রাজনৈতিক সহিংসতা, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন এবং আইন-শৃঙ্খখলাহীনতার মধ্যে নিপতিত হওয়ার সর্বশেষ লক্ষণ। স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর দ্বারা ২০০ গুমের ঘটনা ঘটেছে।
সাম্প্রতিক এই ঘটনাপ্রবাহ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা নিম্নতম পর্যায়ে যাওয়ার লক্ষণ। সরকার বলছে, হরতার ও অবরোধে সহিসংতার জন্য দায়ী বিএনপি। দুটি প্রধান দলের এই বৈরিতায় অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে ইসলামী চরমপন্থার বিপজ্জনক বিকাশের দিক থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনার সরকারের নির্দেশে যদি গুম বা বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার নাও হন, বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যত বহু মিথ্যা ফৌজদারি মামলা দেয়া হচ্ছে। তাদের অনেকেই এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
শেখ হাসিনার নির্দেশে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের বিদেশি তহবিলও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে অর্থসঙ্কটে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর প্রধান আদিলুর রহমান খানকেই দুই বছর আগে অপহরণ করা হয়েছিল এবং দুই মাস আটক রাখা হয়েছিল।
প্রতিহিংসাপরায়ণ সরকার গণমাধ্যমকে টার্গেট করেছে, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, একাধিক টেলিভিশন স্টেশন বন্ধ করা হয়েছে এবং ভাইবার ও ট্যাঙ্গোর মত মোবাইল অ্যাপসে বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে। ভীতসন্ত্রস্ত্র বাংলাদেশিরা রাজনীতি নিয়ে বিদেশি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় নিজেদের নাম গোপন রাখার অনুরোধ করছেন। অথচ তারা এক সময় স্বাধীনভাবে মতামত দিতেন।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ডেইলি স্টার পত্রিকার খ্যাতনামা সম্পাদক মাহফুজ আনামের মত সম্পাদকদের রাষ্ট্রদ্রোহের মত অভিযোগে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছেন। দমন পীড়নকে সরকার এই বলে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে যে তারা বিএনপি ও তার মিত্রদের কয়েক মাসের হরতাল ও অবরোধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
সর্বশেষ বিক্ষোভ শুরু হয় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকীতে যেটি বিএনপি বর্জন করে এবং আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। এ সময় শতাধিক লোক নিহত হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্প তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকদের ট্রাকবহর করে অথবা বিমানে করে চট্টগ্রামে পোশাক পৌঁছাতে হয়েছে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
চলতি বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশে যে ক্রমবর্ধমান সঙ্কট তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন এবং রাজনীতিক ছাড়া বহির্বিশ্ব মূলত নির্লিপ্ত থেকেছে। যদিও বিদেশে রয়েছে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি। পশ্চিমা সরকারগুলো প্রকাশ্যে কিছু হম্বিতম্বি করেই দায়িত্ব শেষ করেছে। হিন্দু সংখ্যগরিষ্ঠ ভারত জামায়াত ও বিএনপির তুলনায় শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকেই পছন্দ করছে।
বিশিষ্ট বাংলাদেশিরা শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যকার ক্রমবর্ধমান তিক্ত বিরোধে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। প্রথমত তারা শঙ্কিত যে শেখ হাসিনার শাসন এখন এতোটাই নিপীড়নমূলক যে ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে তিনি যে প্রতিহিংসার শিকার হবেন সে কারণে তিনি সরকার পরিবর্তনের কথা ভাবতেই পারছেন না।
ফলে স্বাভাবিকভাবে সরকার পরিবর্তনের পথ রুদ্ধ করে তিনি স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের দিকে ঝুঁকছেন। তাদের দ্বিতীয় আশঙ্কা হচ্ছে মূল ধারার রাজনীতিকের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকেই পরিবারতন্ত্র এবং বৈরিতা চলে আসছে। তারা বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষায় ক্রমবর্ধমান ইসলামী চরমপন্থাকে উপেক্ষা করে চলেছেন।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। আমরা শঙ্কিত যে এতে অশুভ শক্তির উত্থান হতে পারে.. ধর্মীয় উগ্রবাদ নিয়েও আমি শঙ্কিত। পরমাণু বিজ্ঞানী এবং বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খান বলেন, সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করছে এবং একটি দলের জন্য ন্যূনতম যে গণতান্ত্রিক জায়গা থাকা দরকার তার দলকে সেই সুযোগও দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে বেসামরিক প্রশাসন, বিচার বিভাগ থেকে সেনাবাহিনী -সব প্রতিষ্ঠানই শেখ হাসিনা এবং তার সরকার হয় দুর্নীতিগ্রস্ত অথবা আত্মীকরণ করেছে।
‘পুলিশ সর্বতোভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং র্যাব ডান-বামের লোকদের হত্যা করছে। রাজনীতির হিসেবের বাইরেও টাকা এবং অর্থের জন্য লোকদের হত্যা করা হচ্ছে। আইন-শঙ্খৃখলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।’ সরকারের মন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের দাবি- তারা বাংলাদেশের সর্বোত্তম স্বার্থেই কাজ করছেন।
মন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার উপদেষ্টা এইচটি ইমাম সেন্সরশিপেরে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সাধারণ মানুষ বিএনপির হরতাল ও অবরোধে হতাশ। তিনি গণনিপীড়নের অভিযোগও অস্বীকার করেন। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি পোশাক রপ্তানি। রাজনৈতিক অসন্তোষ ও সর্বনাশা দুর্ঘটনা সত্ত্বেও এ খাতটি বিকাশ লাভ করেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পোশাক খাতে ৪০ লাখ মানুষ কাজ করছে; যাদের বেশিরভাগই নারী শ্রমিক। পরবর্তী দশকে আট কোটি কর্মসংস্থানের দেশে পোশাক শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে দ্রুতই এক কোটি ৫০ লাখে দাঁড়াবে এবং চাকরির চাহিদা ক্রমবর্ধমানভাবে অগ্রসর চীনের মতোই হবে। এইচটি ইমাম বলেন, ‘হত্যা আর হত্যার চেষ্টা একই রকম। আমার জানা মতে, যারা গ্রেপ্তার হয়েছে- তার দুই-একটা ব্যতিক্রম হতে পারে – কিন্তু তাদের অধিকাংশই ছিল আক্রমণাত্মক এবং তাদের বক্তৃতাও ছিল অত্যন্ত হিংস্র।’ লন্ডনে বসবাসরত বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের রুঢ় সমালোচনা করেন ইমাম। তারেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং দেশে ফিরলেই তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। তবে বিরোধীদের ধ্বংসের কোনো চেষ্টা তারা করছেন না বলেন জানান ইমাম।
তিনি বলেন, ‘আমরা কার্যকরী এবং শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ চাই এবং সেটা এই জন্যে না যে আমরা আবার বিরোধী দলে যেতে পারি। এই ব্যাপারে আমরা সচেতন আছি।’ এমনকি যারা বিএনপি করেন না তাদের বিশ্বাস সরকারের সাথে যুদ্ধে বিএনপি ক্লান্ত। ফলে বছরের বাকি সময়টা শান্তিপূর্ণ হতে পারে।
এপ্রিল মাসেই ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি ও তার নেতাকর্মীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক অবস্থা সামনে যাই হোক, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকবে এবং একটু কম গতিশীল হলেও এগিয়ে যাবে। এখানে যে স্থিতিস্থাপকতা ও তরুণ জনগোষ্ঠী আছে তাদের কাউকেই আটকাতে পারবে না।’ বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রবন্দর, পদ্মা সেতুর মতো বিভিন্ন অবকাঠামো খাতে চীন-জাপানের মাল্টিমিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশ্বাস, ৬ শতাংশ অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি ও পোশাক খাত থেকে বার্ষিক ২৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির কথা উল্লেখ করেন আতিউর।
উপসাগরীয় ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে রেমিটেন্স আগের বছরের ১৪.২ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান গভর্নর। তিনি আরো জানান যে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত পাঁচ বছরে তিনগুণ বেড়ে ২৩ বিলিয়ন হয়েছে। যা দিয়ে ছয়মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আশাবাদীরা বলছেন, বাংলাদেশ অপূর্ণ গণতন্ত্র কিন্তু সফল অর্থনীতির মডেলের অন্যান্য মুসলিম দেশ যেমন- মালয়েশিয়া এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশকে অনুকরণ করছে।
একজন স্থানীয় শীর্ষ সাংবাদিক বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ কখনোই পাকিস্তান হবে না। এটা হবে তুরস্ক।’ তবে স্বাধীন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সড়ক পরিবহন ও সরবরাহ ব্যয়ের প্রভাবের বিষয়টি সরকারি পরিসংখ্যানে যতই অবজ্ঞা করা হোক কেন, সহিংসতায় অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়েছে যেটা তারা (সরকার) ভ্রূক্ষেপ করছে না। খুব কম বাংলাদেশিই কর দেয় এবং তাদের মূলধনও এতোই সুরক্ষিত যেটা জানা খুব কঠিন।
গত ছয় বছরে এবার প্রথমবারের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের কম হবে বলে কিছু আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান পূর্বাভাস দিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, প্রচ- দুর্নীতি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে কেনিয়ার সাথে তুলনা করেন এবং হাসিনা-খালেদার মধ্যে সাম্প্রতিক দ্বন্দ্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘তারা দু’জনেই বর্তমান অবস্থাটাকে শেষ যুদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করছেন। আমার চিন্তা হচ্ছে আমরা আরো কম-বেশি চাপা সহিংসতার দিকে যাচ্ছি। অস্থির অগ্ন্যুৎপাতের একটি উচ্চ পর্যায়ের ‘নতুন স্বাভাবিকতার’ মধ্যে চলছি যেখানে রাজনীতির স্থান খুবই সামান্য।’
বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনিস্টিটিটের চেয়ারম্যান জায়েদি সাত্তার বলেন, ‘রাজনীতির কাছে জিম্মি থাকার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভাব্যতার নীচে রয়ে গেছে।’ সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ এখনো তার স্বামীকে খুঁজলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী, মার্কিন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও অন্যান্য কূটনৈতিক মিশনের সাহায্য চেয়েছেন। তবে তার কোনো প্রভাব এখনো দৃশ্যমান নয়।
এইচটি ইমাম বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী যদি তাকে (সালাহ উদ্দিন আহমেদ) গ্রেপ্তার করতো তারা অবশ্যই তাকে আদালতে উপস্থান করতো। কিন্তু সরকার বিরোধীদের ধারণা অত্যাচার-নির্যাতনে নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে তার মৃত্যু হয়েছে। বেদনাহত হাসিনা আহমেদ বলেন, তিনি ১০০ ভাগ নিশ্চিত যে, সালাউদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্র কর্তৃক অপহৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না সে বেঁচে আছে কিনা।