DMCA.com Protection Status
title="৭

১৬ বছর পর আবার পাকিস্তান জয় করলো বংলাদেশ

bcb৭৯ রানে পাকিস্তানকে হারিয়ে নতুন সূর্য উদয় করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। ম্যাচের ২৮ বল বাকি থাকতে পাকিস্তান ইনিংস গুড়িয়ে দেয় টাইগার বোলাররা।

বিশ্বকাপের পর দু'দলেরই প্রথম সিরিজ। বাংলাদেশ স্বাগতিক আর পাকিস্তান সফরকারী। অতীতের ইতিহাসে পাকিস্তান এগিয়ে থাকলেও বাস্তবের খাতায় এগিয়ে থেকে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের পর লন্ডভন্ড পাকিস্তান আর সাম্প্রতিক ফর্মের বাংলাদেশের তিন ওয়ানডে ম্যাচের লড়াইয়ের প্রথম ম্যাচে টস জিতে শুরু হয় বাংলাদেশ ভাগ্য। মাশরাফির পরিবর্তে প্রথম ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া সাকিব আল হাসান টস জেতায় ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।

আর ব্যাট করে জয়ের জন্য তামিম ইকবাল ও মুশফিকর রহিমের শতকের কল্যাণে পাকিস্তানকে ৩৩০ রানের টার্গেট বেঁধে দেয় বাংলাদেশ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০.২ ওভারে সাবলীল শুরু করে পাকিস্তান। আর তাতে সাকিব বোলিং প্রান্ত নিয়মিত বদলি করছিলেন। সানি ব্রেক থ্রু এনে দিয়ে অধিনায়কের আস্থায় প্রমাণ রাখেন। পাকিস্তানি ওপেনার সরফরাজ আহমেদকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন আরাফাত সানি। সরফরাজ আউট হন ২৪ রানে। আর তার একটু পরই রান আউটের শিকার হয়ে ক্রিজ ছাড়েন মোহাম্মদ হাফিজ।

এরপর পাকিস্তানের প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চলে। তাসকিন ২৭.৩ ওভারে হ্যারিস সোহাইলকে ফিরিয়ে দিয়ে সে প্রতিরোধ ভাঙেন। এরপর পাকিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নিয়মিত বিরতি দিয়ে হারিয়েছে উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪৫.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান তুলে স্কোর বোর্ডে।

তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি প্রত্যেক ৩ উইকেট করে পান।

এর আগে টাইগার স্কোর বোর্ডের শুভ সূচনা করতে ক্রিজে নামেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের সতর্ক শুরু। কিছুটা আগ্রাসী মনোভাবও দেখাচ্ছিল তামিম ইকবাল। তবে, বল বুঝে খেলছিলেন তামিম।

কিন্তু ভুল বঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সৌম্য সরকার। লীয় ৪৮ রানের মাথায় ১৩.২ ওভারে রান আউট হন সৌম্য। আউট হওয়ার আগে সৌম্য করেন ২০ রান। এর একটু পরই ১৮ বলে ৭ রান করে রাহাত আলীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। আর তাতে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

এরপর ক্রিজে থাকা তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের উপর দলকে টেনে আনার দায়িত্ব বর্তায়। এই দুই ব্যাটসম্যান বেশ ভালভাবেই সামলিয়েছেন দায়িত্বটাও। গড়েছেন ১৬৮ রানের জুটি। যা একদিনের ক্রিকেটে যে কোবন উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান। আর তামিম ও মুশফিকুর রহিম দুই জনই তুলে নেন শতক।

তামিমের নান্দনিক শতকের ইনিংসে ছিল ১৫ চার ও ৩ চক্কার মার। আউট হন ১৩২ রান করে। অর্ধ-শতকে পৌঁছাতে ৭৫ বল খেললেও এ ড্যাশিং ওপেনার ১০১ রান করেন ১১২ বল খেলে। অর্ধ-শতক পূর্ণ করার পর হাত খোলে খেলেন তামিম ইকবাল।

সিরিজ শুরু হওয়ার আগে তামিমকে নিয়ে সমালোচনায় মূখর ছিল ক্রিকেট ভক্তরা। আর সিরিজের প্রথম ম্যাচেই আবারো নিজের জাত ছিনিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল। একদিনের ক্রিকেটে তামিম ইকবালের এটি পঞ্চম শতক। শতক হাকানোর পর দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত দেখিয়ে তা বুঝিয়ে দেনও তামিম।

তামিম ইকবালের পর শতকের পথে হেটেছেন মুশফিকুর রহিমও। এ যেন বিশ্বকাপটা যেখান থেকে শেষ করেছিলেন, মিরপুরেও সেখান থেকে শুরু করেছেন মুশফিকুর রহিম। ফর্ম যেন মিরপুরে টেনে আনলেন মুশফিকুর রহিম। আর তাতে পেয়ে গেলেন শতক।

পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬৯ বলে শত রানের কোঠা পূর্ণ করেন এ উইকেট কিপার কাম ব্যাটসম্যান।

তামিমের শতকের পর মুশফিকুর রহিমেরও শতকের কল্যাণে ম্যাচের চালকের আসন নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। শেষ দিকে সাকিব আল হাসানের ৩১ রান যোগ হলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করে বাংলাদেশ। যা একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও বটে। এর আগের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৩২৬ ছিল একই দলের বিরুদ্দে ২০১৩ সালে।

পাকিস্তান বোলার ওহাব রিয়াজ ৪ উইকেট নেন ম্যাচে।

ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন মুশফিকুর রহিম।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!