দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃবিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং পুলিশ।
ভারতের সময় টিভির ব্যুরো চিফ সুব্রত আচার্য জানান, বুধবার বিকেলে কেএমএল নংব্রির আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এম লামহারে। মামলার ২৩ দিন পর এই চার্জশিট দাখিল করা হলো। আদালত জানিয়েছে, সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে শুধু ভারতে কোনো কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে প্রবেশের চার্জশিট দিয়েছে শিলং পুলিশ। এর প্রেক্ষিত তাঁকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে কিংবা পুশব্যাক করা হতে পারে।
১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতের সময় শেষে আগামী ১০ জুন তাঁকে আদালতে নেওয়া হতে পারে। গত ১০ মার্চ সালাহ উদ্দিন উত্তরার বাসা থেকে নিখোঁজ হন৷ তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ নিখেোঁজের পর থেকেই অভিযোগ করেছিলেন, রাত দশটার পরপর উত্তরার একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকধারী ডিবির একটি দল তাঁর স্বামীকে উঠিয়ে নিয়ে যায়৷
৬৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে সন্ধান পাওয়া যায় বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের। তাকে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকার লোকজন ১১ মে ভোরে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নেওয়া হয় সেখানকার সিভিল হাসপাতালে।
এরপর শিলং সদর পুলিশ থানা হয়ে নেওয়া হয় মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে। এক দিন পর মিমহানস থেকে আবার তাকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে। আট দিন পর সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে স্থানান্তরিত করা হয় নেগ্রিমসে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় তাঁকে গ্রেফতার দেখায় শিলং পুলিশ। উন্নত চিকিৎসার জন্য সালাহ উদ্দিনকে বিদেশে নিতে ২২ মে জামিন চেয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করেন পরিবারের সদস্যরা।
এরপর ২৭ মে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিলংয়ের আদালত। জামিনের আবেদন করলে ২৯ মে তা নাকচ করে দেয় আদালত।