ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলাদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি চেয়ার পারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষাত এবং বৈঠক বানচালের সকল চেষ্টা চালিয়েছে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার।গতকয়েক দিন যাবৎ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম এবং সরকারের মন্ত্রীবর্গরা বার বার বলে আসছিলেন এ বৈঠক হচ্ছে না। এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলীও আজ বলেছেন খালেদা-মোদীর কোন বৈঠক হবে না। এধরনের নিন্দনীয় মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনমনে ব্যপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে হাসিনা সরকার কি অর্জন করতে চাইছে তা দেশের জনগনের বোধগম্য নয়।
অথচ আসল খবর হচ্ছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকটি সফরের দ্বিতীয় দিন ৭ জুন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। আজ শুক্রবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর এ তথ্য জানান।
সুব্রামানিয়াম সংবাদ সম্মেলনে জানান, আগামী ৭ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরকালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ৭ জুন।
এ বৈঠকের পরই খালেদা-মোদী বৈঠক হবে। বৈঠকটি হচ্ছে হোটেল সোনারগাঁয়ে বিকেল চারটায় অনুষ্ঠিত হবে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বৈঠক হবে কি না জানতে চাইলে সাবিহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশে একটি ক্রুসিয়াল সময় চলছে। এই সময়ে মোদী সাহেব বাংলাদেশে আসছেন। তাঁর সঙ্গে ম্যাডাম জিয়ার দেখা হবে না, ভাবলেন কি করে?
৬ ও ৭ জুন প্রায় ৪০ ঘণ্টার এক সফরে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদার দাস মোদী। ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর এটিই তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।