DMCA.com Protection Status
title=""

মিথ্যার রূপকার হচ্ছে হাসিনার অপর নাম – জাহিদ এফ সরদার সাদী

modiজাহিদ এফ সরদার সাদীঃ আর্ন্তজাতিক কূটনীতিতে আ.লীগের বেশুমার মিথ্যাচার । বার বার মিথ্যাচারে পুরো জাতিকে বিশ্ব দরবারের হেয় করে কি পাচ্ছে তারা ? কেন এতো মিথ্যাচার করে আওয়ামিলীগ? ক্ষমতায় টিকে থাকতে আর কত মিথ্যাচার সইতে হবে এই জাতিকে ? প্রয়জনে অপ্রয়োজনে মিথ্যা বলা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসন, নেতা ,কর্মী এমন কোন স্তর নাই যে স্তরে মিথ্যার চর্চা করেনা দলটি এবং এদের দোসররা।

দিনের পর দিন হাসিনার উত্তরসুরীরা মিথ্যার ফুলঝুরিতে দেশটিকে নিছক পণ্যে পরিণত করে চলেছে। এই সমস্থ মিথ্যা দিয়ে দেশের উন্নতি না হলেও অন্তত অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে খুশি করা যায়। মিথ্যার এই লাগামহীন প্রতিযোগিতা ক্রমান্বয়ে আওয়ামী লীগ নামের এই প্রাচীন দলটি জনপ্রিয়তার তলানীতে এসে হাবু ডুবু খাচ্ছে।

বিশ্বে মিথ্যার উপর যদি কোনো প্রতিযোগিতা হতো, তাহলে সারা পৃথিবীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করতো বাংলাদেশ। সারা বিশ্বের মিথ্যাবাদীদের আইকন হতেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং উনার উত্তরসুরীরা। এতে কোন সন্দেহ নেই । এই সমস্ত মিথ্যা বচনে সবচাইতে লাভবান হচ্ছে বিএনপি জোট। সরকার দলীয় কর্মী সমর্থকরা ২০ দলীয় জোটের নেতা কর্মীদের সাথে যুক্তি তর্ক এড়িয়ে মিথ্যা দিয়ে মিথ্যা বলার অপকৌশল লিপ্ত হচ্ছে।

আওয়ামিলীগকে পুনর্জন্ম দেওয়া শহীদ জিয়ার দল সহ ২০ দলীয় জোটের নেতা কর্মীরা অবশ্য আগামীতে বুক ফুলিয়ে বলতে পারবে 'মিথ্যার রূপকার হচ্ছে হাসিনার অপর নাম'। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাপক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোদীর সঙ্গে খালেদার বৈঠকের সুযোগ নেই বলে জানিয়ে দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।

একই দিনে শুক্রবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদীর ঢাকা সফরের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকটি সফরের দ্বিতীয় দিন ৭ জুন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

দুটি দেশের রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তার দেওয়া বক্তব্য দুটি দু রকম হওয়ায় মানুষ বাংলাদেশের অবৈধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্যে জনমনে ঘৃণার সঞ্চার হয়েছে । ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যা বলেছেন তা ভারত সরকারের প্রতিনিধি হয়ে বলেছেন আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী যা বলেছেন তাতে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এই বলদ মন্ত্রীদের না জানিয়েই সকল কর্মসূচি তৈরী করেছে তথ্য বাবা জয় অথবা বিশেষ কোন বাহিনী দ্বারা। তাই কাজ কর্ম ফেলে আকাম নিয়ে ব্যস্ত মন্ত্রীরা মিথ্যার কর্মসূচি পালন করে যাচ্চ্ছে। এই সমস্থ অজ্ঞান মন্ত্রীদের, নামে মাত্র মন্ত্রী বানিয়ে হাসিনা জাতীয় স্বার্থকে ভারতের অনুকূলে তুলে দিচ্ছেন।

এক মাস আগেই বলেছিলাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে মোদীর বৈঠক হবে। অথচ তারা ঢাক ঢোল পিটিয়ে বললো বৈঠক হবে না।  তারপর বৈঠকের দিন-ক্ষন বলে দেবার পরও এই অবৈধ সরকার বলেই চললো বৈঠক হবে না।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী  বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মোদীর বৈঠক হচ্ছে।  এখন কি বলবেন এই অবৈধ আওয়ামী সরকার আর তার অবৈধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ?

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!