ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবশেষে প্রায় ছয়দিন পূর্বে মিয়ানমারের বিজিপি কর্তৃক অপহৃত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির নায়েক আবদুর রাজ্জাককে নিঃশর্তভাবে সসম্মানে ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার।
গত কয়েকদিনের চরম অনিশ্চয়তার পর চীন সফররত বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারল আজিজ মারফৎ একটি নির্ভর যোগ্য সংবাদ পাওয়া গেলো।যদিও বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে কিন্তু এ ব্যাপারে এই মন্ত্রনালয়ের গাছাড়া ভাব জনগনকে বিষ্মিত করেছে।
চীনে অবস্থানরত বিজিবির মহাপরিচালকের (ডিজি) বরাত দিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসীন আলী। এছাড়া সংবাদমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক।
রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানান, মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে (ডিএ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুরের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় কথা হয়েছে তার। তিনি তাকে জানিয়েছেন, তিনি মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মিয়ানমারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিঃশর্তে বিজিবি নায়েক রাজ্জাককে তার অস্ত্রসহ সসম্মানে ফেরত দেবেন।
এতদিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বৈঠকের অনুমতি না পাওয়ার অজুহাত দিয়ে আসছিল মিয়ানমারের বিজিপি। তবে মঙ্গলবার তারা নতুন সুর তুলেছিল। তারা বলেছিল, শর্ত সাপেক্ষে ফিরিয়ে দেওয়া হবে রাজ্জাককে। আর শর্ত হলো সমুদ্রপথে মালয়েশিয়াগামী উদ্ধার হওয়া ৫৫৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত আনলে তবেই রাজ্জাককে ফেরত দেওয়া হবে।
সোমবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বিজিবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)র ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. তিন কো কো বিশেষ কিছু শর্তে রাজ্জাককে মুক্তির আশ্বাস দেন। বিকেল চারটার দিকে কো কোকে ফোন দেন ৪২ বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ।
কো কো এ সময় রাজ্জাককে ফেরত দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। তবে বৈঠক মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান। কখন, কোথায় বৈঠক হবে জানতে চাইলে জাহিদকে কো কো বলেন, রাজ্জাককে ফেরত নিতে হলে বঙ্গোপসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ৫৫৫ জনকে ফেরত নিতে হবে। তাদের দাবি এই ৫৫৫জন বাংলাদেশি। এর জবাবে জাহিদ বলেন, রাজ্জাক আর অভিবাসীদের বিষয়তো এক নয়। কিন্তু ওই বক্তব্যের পর মত পাল্টালো মিয়ানমার।