দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেছেন, সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন বলেই আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কার করেছে। দল চাইলে তার সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে নির্বাচন বিষয়ক রিপোর্টিংয়ের ওপর প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ছহুল হোসাইন বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে দল থেকে সংসদ সচিবালয়কে জানানো হলে স্পিকার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের পাঠাবেন। নির্বাচন কমিশন তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এক্ষেত্রে তার সংসদ সদস্যপদ রাখার সুযোগ নেই। কারণ তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারতেন না। তবে এক্ষেত্রে সংবিধান ও আইনে কিছুটা ফাঁক আছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অনেক ক্ষমতা দিয়েছে। ওই ক্ষমতা প্রয়োগে ইসির ইচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই মিডিয়াকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অনেক ক্ষমতা দিয়েছে। ওই ক্ষমতা প্রয়োগে ইসির ইচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই মিডিয়াকে নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয়। কিন্তু এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও তথ্যপ্রাপ্তির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আরো বেশি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’র আহ্বায়ক শেখ নজরুল ইসলাম এবং ডিআরইউ’র প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক কাজী সোহাগ। কালের কণ্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার নিখিল ভদ্রের পরিচালনায় প্রশিক্ষক ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী ও ডেইলি স্টারের বিশেষ প্রতিনিধি সাখাওয়াত লিটন।