ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবশেষে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপূর গেলেন সদ্য কারামুক্ত এবং গুরুতর অসুস্থ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যাত্রার প্রাক্কালে মির্জা ফখরুল দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
রবিবার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের বিএনপির অসুস্থ ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘‘ ‘‘ আমি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাচ্ছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের মাধ্যমে আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইছি।’’
চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘ সি্ঙ্গাপুরে আমার চিকিৎসককে দেখানোর পর সিদ্ধান্ত নেবে কি করবো।’’ রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ছাড়েন। সঙ্গে রয়েছে তার সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগম।
দলের কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, হাসান জাফির তুহিন, ফরহাদ হোসেন আজাদ, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান প্রমূখ নেতারা হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে বিদায় জানান।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সিঙ্গাপুরে ‘কানেকশন’ হসপিটালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ মারিস চু‘র অ্যাপুয়েন্টমেন্ট করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই চিকিৎসকের তত্ত্বাধায়নে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘাড়ে ইন্টারন্যাল ক্যারোটিভ আর্টারিতে ব্লক সৃষ্টি হওয়ায় কাশিমপুর কারাগারে গুরুতর অসুস্থ পড়লে গত ১৪ জুলাই মির্জা ফখরুলকে দেশের সবোর্চ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট তাকে জামিন দেয়।
এর আগে সকালে শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বলেন, ‘‘ আমার ইন্টারন্যাল ক্যারোটিভ আর্টিারিতে ব্লক। আছে হৃদরোগের সমস্যা। আমার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক রয়েছে। ওইসব স্টেইন করা। এছাড়া রয়েছে আইবিএস‘র সমস্যা। আইবিএস অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেছে। সব মিলে আমি ভীষন অসুস্থ।’’
জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী তিন মাসের আন্দোলনের প্রথমেই গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গন থেকে পুলিশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করে। তাকে ওই সময়ে কয়েকটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।এই সব শারিরীক অসুস্থতার জটিলতায় তার ওজন প্রায় ২৫ পাউন্ড কমে গিয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।