DMCA.com Protection Status
title="৭

প্রধানমন্ত্রী চাইলে যেকোনো সময় নির্বাচন দিতে পারেন: সৈয়দ আশরাফ

P1_ashrafক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আগামী নির্বাচন যথাসময়েই হবে। তবে সাংবিধানিকভাবে, প্রধানমন্ত্রী চাইলে যেকোনো সময় নির্বাচন দিতে পারেন।

শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদা‍ৎ বার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গীপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

এর আগে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, বিভিন্ন জেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের পর দোয়া ও মোনাজাত অ‍নুষ্ঠিত হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন।

সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের দলের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। আমরা ৫ বছর পরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবার অংশগ্রহণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি না আসে তাহলে তাদের অস্থিত্ব বলতে কিছু থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ আশরাফ।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী মনে করলে যে কোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। এই ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে। তিনি মনে করলে সংসদ বাতিল করে নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতিতে চিঠি দিতে পারেন। সংবিধানে এটা বলা আছে।

জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়াকে আবারও জন্মদিন পালন না করার আহ্বান জানিয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট যদি সত্যিকারের জন্মদিন হয়ে থাকে তাহলেও ১৬ বা ১৭ আগস্ট যেন তিনি জন্মদিন পালন করেন। ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম শীতকালে। কিন্তু তিনি শীতকালে জন্মদিন পালন করেন না। তিনি দেশের জনগণের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য শীতকালের পরিবর্তে জুলাই মাসে জন্মদিন পালন করেন।

শনিবার ঢাকা থেকে ভোর ৬টায় রওয়ানা হয়ে দুপুর ১২টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় পৌঁছায় প্রতিনিধি দলটি। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহব‍ুবুল আলম হানিফ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বি এম মোজাম্মেল হক, মেজবাহ উদ্দিন সেরাজ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় বিভিন্ন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৪০ দিনব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবেই গোপ‍ালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আওয়ামী লীগ নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া বিকেল সাড়ে ৪টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্তদান কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। কৃষক লীগ আয়োজিত এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!