এলডিপি চেয়ারম্যান কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ আজ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর জাসদের প্ররোচনায় সামরিক বাহিনীতে মো ১৯ বার অভ্যুত্থানের চেষ্টা করা হয়েছে এবং আমরা সেই সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছি। এ অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করে দেওয়া। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয় নাই।
জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জ্যাব) ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি না করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করার আহবান জানিয়ে কর্ণেল অলি বলেন সত্যকে সত্য বলুন, মিথ্যাকে পরিহার করে জনগণের পক্ষে কলম ধরুন।
আজ ১সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটরিয়ামে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি(এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ বীরবিক্রম। সৈয়দ মেসবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা আমানুল্লাহ কবীর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা এলাহী নেওয়াজ খান ,আমিরুল ইসলাম কাগজী, ইলিয়াস খান, গাফ্ফার মাহমুদ, ফেরদৌস আহমেদ, বাসিত মিয়া, মাহবুব আলম, নূরল ইসলাম খোকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আমানুল্লাহ কবীর বলেন,বাংলাদেশ যে তিনটি ভিত্তির উপর দাড়িয়ে আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে সেই কৃষি, পোশাকশিল্প এবং মানবসম্পদ রফতানির সূচনা হয়েছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলেই।
প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন সততা এবং রাষ্ট্র পরিচালায় শহীদ জিয়া ছিলেন অনন্য সাধারণ।
এলাহী নেওয়াজ খান বলেন,মহান নেতাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে সম্মরণ করার মধ্য দিয়ে একটা জাতি এগিয়ে যেতে পারে।উপকৃত হতে পারে নতুন প্রজম্ম।বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে যুগান্তকারী অবদান রেখে গেছেন আজকের দিনে তার উপর আলোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে সেই মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা,তাকে শ্রদ্ধা করা।
শত শত সাংবাদিকের উপস্থিতিতে পেশার মর্যাদা রক্ষায় আবারও বিভক্ত ইউনিয়ন ঐক্যবদ্ধ করার দাবি ওঠে।সাংবাদিক নেতারা দু’ ইউনিয়ন এক করার দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেন।