DMCA.com Protection Status
title="৭

লন্ডন গেলেন বেগম খালেদা জিয়াঃ চার বছর পর হচ্ছে পূত্রের সাথে সাক্ষাত

bziaক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবশেষে চিকিৎসার্থে লন্ডন গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া । এই সফরের মধ্য দিয়ে চার বছর পর প্রিয় পূত্র তারেক রহমান এবং তার পরিবারের সাথে আবেগঘন সাক্ষাত ঘটতে যাচ্ছে দেশনেত্রীর।

আজ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ন'টায় এমিরেটস এয়ারলাইনস-এর ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

এসময় বিমানবন্দরে বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান। ‘‘ মধ্য রাতে অ্যামিরাটস এয়ারলাইন্সের বিমানটির দুবাইতে দুই ঘন্টার যাত্রা বিরতি রয়েছে।

কাল বুধবার সকালে ম্যাডামের লন্ডন পৌঁছানোর কথা রয়েছে।’’ বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল গণমাধ্যমকে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দু'সপ্তাহের সফরে যুক্তরাজ্য যাচ্ছেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত সফর। এ সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে চোখ ও পায়ের চিকিৎসা করানো। সেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাবেন তিনি।

তিনি বলেন, তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে চিকিৎসাধীন। তিনি সেখানে সপরিবারে বাস করেন। প্রয়াত পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শারমিলা রহমান সিঁথি ও কন্যারাও এ উপলক্ষে লন্ডন গেছেন। ঈদুল আযহাও একসংগে উদ্যাপনের কথা রয়েছে। তিনি আরও জানান, লন্ডনে ইতোমধ্যেই বেগম খালেদা জিয়ার জন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে এপয়েন্টমেন্ট করা হয়েছে। বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান নিজেই একজন চিকিৎসক এবং তিনিই তার শাশুড়ির চিকিৎসার বিষয়ে সমন্বয় ও দেখভাল করবেন।

kzlondon2খালেদা জিয়ার সঙ্গে রয়েছেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার ও গৃহকর্মী ফাতেমা আখতার কুলসুম। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়ালও একই বিমানে তার সঙ্গে লন্ডন যাচ্ছেন।

২০০৬ সালের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর লন্ডনে খালেদার এটি দ্বিতীয় সফর। ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরার পথে তারেককে দেখতে তিনি লন্ডন গিয়েছিলেন।

মারুফ কামাল খান সোহেল আরও জানান, চিকিৎসা ও পারিবারিক ব্যস্ততার ফাঁকে দলের প্রবাসী নেতা-কর্মীদের সংগেও সফরকালে বেগম খালেদা জিয়ার কর্মসূচি হতে পারে।

তিনি সফর শেষে আগামী পয়লা অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। সন্ধ্যা থেকেই হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের প্রবেশমুখে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করা হয়।

এতে বিমানবন্দর টার্মিনালে যেতে দলের নেতা-কর্মীরা বাঁধার মুখে পড়ে। রাত ৮টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমান বন্দরের টার্মিনালে প্রবেশ করলে সড়কে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা নেতা-কর্মী-সমর্থকরা করতালি দিয়ে নেত্রীকে বিদায় জানায়। এ সময়ে দলের জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মোহাম্মদ শাহজাহান, গোলাম আকবর খন্দকার, আসাদুজ্জামান রিপন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ সালেহ এমরাহ প্রিন্স, শামীমুর রহমান শামীম, নুরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, মমিনুল হক প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘ দীর্ঘদিন পর ম্যাডাম তার পুত্রসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন। আমরা ম্যাডামকে অনুরোধ করেছি, তিনি যেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এবারে ঈদ উদযাপন করে দেশে ফেরেন।’’ দলের সাংগঠনিক কাজ সকলে মিলে এগিয়ে নিতেও চেয়ারপারসন নির্দেশ দিয়ে গেছেন বলে জানান স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!