ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মাত্র কিছুক্ষন পূর্বে বাংলাদেশের ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে এসে পৌছেছেন।
তবে তার এই সফরকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের রাজনৈতিক মহলে ঠাণ্ডা লড়াই শুরু হয়েছে গত কয়েকদিন থেকেই।
সোমবার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ এক বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সফরের সময় খালেদা জিয়া যেখানে থাকবেন, যেখানে যাবেন, সেখানেই তারা বিক্ষোভ করবেন। বিএনপি নেত্রীকে কালো পতাকা দেখানো হবে। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক বলেন, "সম্প্রতি সরকার বিরোধী আন্দোলনে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন তিনি। আমরা তার প্রতিবাদ জানাবো। আগুন সন্ত্রাসী হিসাবে তাকে কালো পতাকা দেখাবো।"
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন সফরের সময় বিএনপির করা বিক্ষোভ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। খালেদা জিয়ার সফরের সময় তারা ঐ সময়ের বদলা নেওয়ার চেষ্টা করবে।
তবে যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রেসিডেন্ট আব্দুল মালেক সাবধান করেছেন, তার নেত্রীকে হেনস্তা করার যে কোন চেষ্টা তারা প্রতিরোধ করবেন। তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করলে, আমরা বসে থাকবো না। আওয়ামী লীগের বোঝা উচিৎ পরিস্থিতি ব্যক্তিগত পর্যায়ে গড়াতে পারে।"
জনাব মালেক বলেন, তাদের বিক্ষোভ ছিলো একজন স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে, ব্যক্তি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়। "খালেদা জিয়া এখন আর বিরোধী দলীয় নেত্রী নন, এমনকি এমপিও নন।"
গোপন রাখা হচ্ছে খালেদা জিয়ার কর্মসূচীঃ
খালেদা জিয়া কখন এসে নামবেন, কোথায় থাকবেন, কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করবেন কিনা তা নিয়ে এমনকি বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যেও বিভ্রান্তি রয়েছে। নেত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচিও বিএনপি নেয়নি।
আব্দুল মালেক অবশ্য বলেন, খালেদা জিয়া তার ছেলে তারেক রহমানের বাড়িতে থাকবেন না। "আমি এটা নিশ্চিত করতে পারি, তিনি ছেলের বাড়িতে থাকবেন না। তিনি হোটেলে থাকবেন।"
বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া লন্ডনে অবস্থানকালে একাধিক জায়গায় থাকতে পারেন। জনাব মালেক বলেন, বিএনপি নেত্রী আসছেন প্রধানত চিকিৎসার জন্য। "কোনো সভা সমিতি হবে কিনা তা নেত্রী আসার পর পরিস্থিতি বুঝে ঠিক করা হবে।"
তবে তিনি জানান, ঈদুল আযহার দিনে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মী, সাংবাদিক এবং কম্যুনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে খালেদা জিয়ার একটি সৌজন্য সাক্ষাতের পরিকল্পনা করেছেন তারা। বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে দেশনায়ক তারেক রহমান গত বছর সাতেক ধরে লন্ডনে সপরিবাে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।