ক্যাপ্টেন (অবঃ)মারুফ রাজুঃ জটিল রোগাক্রান্ত এবং চিকিৎসাধীন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত
মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেন জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ওই আদেশ দেন।
এদিন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশে ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। জামিন আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষে অংশ নেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট খন্দকার জয়নুল আবেদিন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট মহসিন মিয়া, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট মোসলেহ উদ্দিন জসীম ও অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী। মির্জা ফখরুলের গুরুতর অসুস্থতার সকল কাগজপত্র উপস্থাপন করে তার জামিনে থাকার যৌক্তিকতা প্রমানের চেষ্টা করেন তার আইনজীবিগন।
অপরদিকে জামিনের বিরোধীতা করে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু।
শুনানি শেষে বিচারক বলেন, আইন দ্বারা আমার হাত বাঁধা আছে। এমতাবস্থায় কোনো প্রেক্ষিতেই জামিন বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নেই। শেষে ফখরুলের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। এরপর ১৪ জুলাই জামিনে মুক্তি পান তিনি। আদালতের আজকের নির্দেশের মধ্যে দিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো কারাগারে যেতে হচ্ছে ফখরুলকে।
পল্টন থানার নাশকতার তিন মামলায় গতকাল আপিল বিভাগ বিএনপির এ নেতাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। ফখরুলের করা জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গতকাল ওই আদেশ দিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মামলায় হাইকোর্টে দেয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন আদালত। গত ২৮ অক্টোবর গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতার তিন মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে সুপ্রিমকোর্টে আট সপ্তাহ সময়ের প্রার্থনা করেছিলেন বিএনপির এই নেতা।