নারীরা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করে আবার ব্যাংকের টাকা ফেরত দেয়। তারা ঋণ খেলাপি হয় না। নারী উদ্যোগে বিনিয়োগ এখন ব্যাংকের ভালো বিনিয়োগ খাত। তবে নারী উদ্যোক্তাদের প্রথম বাধাই হচ্ছে অর্থায়ন। এজন্য ব্যাংকারদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে নারী উদ্যোক্তাদের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগ নারী উদ্যোক্তা সম্মেলন ও পণ্য প্রদর্শনী শীর্ষক বিশেষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দিনব্যাপী আয়োজনে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে ৫ শতাধিক নারী উদ্যোক্তা তাদের উত্পাদিত পণ্য নিয়ে অংশ নেন। এসএমই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. মাছুম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাসেম আহমেদ, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক হান্নানা বেগম, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমান, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মো. শাহজাহান খান, জাপানভিত্তিক সহায়তা সংস্থা জাইকার প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতাইদা, কেয়ারের আবাসিক প্রতিনিধি জেমি তেরজি, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন-এবিবি'র চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদ খানসহ অন্যরা।
কাজী আকরাম উদ্দিন বলেন, অনেক ব্যাংকার নারীদের এড়িয়ে চলতে চান। তারা দেশের ভালো চান না। তবে নারীদের উত্পাদনশীল খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ৭টি নারী উদ্যোক্তা চেম্বার আছে। আরো ১০টি আবেদন জমা রয়েছে। আবুল কাসেম আহমেদ বলেন, নারীদের ঋণ দিলে তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করেন, উত্পাদন করেন, টাকা ফেরত দেন। পরিবেশের ক্ষতি করেন না। নারী উদ্যোগে বিনিয়োগ এখন এসএমই বিজনেস কেস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোকেয়া আফজাল রহমান বলেন, নারী উদ্যোগে বিনিয়োগকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। আলী রেজা ইফতেখার বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীরা অবহেলিত। তবে ঋণের পাশাপাশি অন্য সেবাও নারীদের দিতে হবে। প্রশিক্ষণ, নেটওয়ার্কিংটা তাদের জন্য জরুরি।