ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধী সৌধ বর্তমান সংসদ ভবন সংলগ্ন চন্দ্রমা উদ্যান থেকে সরিয়ে নিতে হাসিনা সরকারের হীন পরিকল্পন অব্যাহত রয়েছে।
আজ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সংসদে বলেছেন, ‘লুই আই কান প্রণীত নকশার মূলকপি বাংলাদেশে সংরক্ষিত না থাকায় নকশাবহির্ভূত স্থাপনা কোনগুলো তা সুনিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। নকশা সংগ্রহের পর মূল নকশাবহির্ভূত স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে জিয়ার মাজার সহ আরও কিছু স্হাপনা অপসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।’
রোববার জাতীয় সংসদে মুহিবুর রহমান মানিকের (সুনামগঞ্জ-৫) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনটি বিখ্যাত মার্কিন স্থপতি এস্তোনীয় ইহুদী বংশোদ্ভূত লুই আই কানের নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মাণ করা হয়। যা বিশ্বের স্থাপত্য নকশায় একটি অনন্য ভবন হিসেবে স্বীকৃত।
সময়ের পরিক্রমায় সামরিক-বেসমারিক বিভিন্ন সরকার কর্তৃক তাদের মেয়াদে কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু লুই কান প্রণীত নকশার মূলকপি বাংলাদেশে সংরক্ষিত না থাকায় প্রকৃত অর্থে কোনো কোনো স্থাপনা স্থপতি লুই আই কানের নকশাবহির্ভূত তা এ মুহূর্তে সুনিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশের আলোকে স্থপতি লুই কানের মূল নকশাটি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কাইভ হতে সংগ্রহর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
নকশা সংগ্রহের পর সুনির্দিষ্টভাবে মূল নকশাবহির্ভূত স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করে তালিকা প্রণয়নসহ অপসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সেলিনা বেগমের টেবিলে উত্থাপিত আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরে ৬ হাজার ৪০৬টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। এসব পরিত্যক্ত বাড়ি শুধুমাত্র শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। অন্য কাউকে বরাদ্দ দেওয়ার বিধান নেই। ঢাকা শহরে রাজউকের আওতাধীন এলাকার কম-বেশি ১৫১টি পরিত্যক্ত বাড়ি ও প্লট আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রথমবার নির্বাচিত সব সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের ঢাকা শহরে কোন জমি/বাড়ি নেই তাদের অনুকূলে প্লট/বাড়ি বরাদ্দ দেওয়ার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে রাজউক সম্প্রতি দুটি নতুন আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
প্রকল্প দুটি অনুমোদিত হলে প্রথমবার নির্বাচিত এমপিদের প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করলে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।