বিশেষ প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজু: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সামনা সামনি আলোচনা করে সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিন । বিগত নির্বাচন যেভাবে সম্পন্ন হয়েছে তাতে বাংলাদেশের জনগনের উদ্বেগ প্রশমিত করতে আলোচনাই উত্তম ও কার্যকর পথ।
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবোট বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।
মার্কিন কংগ্রেসে ওহিও ১ম ডিস্ট্রিক থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবোট কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এবং দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক সাব- কমিটির প্রভাবশালী সদস্য।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা এবং বিএনপির বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী, শহীদ বিপ্লবী সিরাজ সিকদারের পুত্র শুভ্র সিকদার, মার্কিন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জ্যাকব মিল্টন এবং বিএনপি নেত্রী নীরা রাব্বানী।
ওয়াশিংটন ডিসির কংগ্রেস রেবন বিল্ডিং এ কংগ্রেসম্যান শ্যাবোট'র সাথে এই জরুরীবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য স্টিভ শ্যাবোট কংগ্রেসের দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক সাব- কমিটির দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান থাকাকালে বিগত ৫ জানুয়ারীর বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নভেম্বরে বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সফলতায় প্রতিবন্ধকতায় তিনি সর্বদাই উদ্বিগ্ন।
কংগ্রেসম্যান শ্যাবোট বলেন, যুক্তরাস্ট্রের সাথে বাংলাদেশের জনগনের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের এবং গভীর।
বাংলাদেশের জনগনের জন্য তার হৃদয়ে উষ্ণ অবস্থান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত নির্বাচন যে প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে তা বিতর্কিত হওয়ায় বাংলাদেশের জনগনের ভেতর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য রাজনৈতিক আলোচনার কোন বিকল্প নেই। আর তা রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে।
স্টিভ শ্যাবোট বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উন্নয়ন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জনগনের মধ্যে অধিকতর সহযোগিতার ক্ষেত্রে তৈরী করবে।
এ সময়ে জাহিদ এফ সরদার সাদী স্টিভ শ্যাবোটকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা বার্তা পৌছে দেন।
বৈঠকের ভিডিও দেখার জন্য নীচের লিংকে ক্লিক করুনঃ